ভিয়েতনাম ফেরত ৮১ জন অভিবাসী শ্রমিককে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। অভিবাসী শ্রমিকদের প্রত্যেকে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর ছাড়পত্র নিয়ে ভিয়েতনামে যান বলে জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন শেষে এই শ্রমিকেরা বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তবে বাড়িতে নয় পুলিশ তাদের সকালে আদালতে নেয়।
তুরাগ থানার পুলিশ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
তুরাগ থানা পুলিশ জানায়, কোয়ারেন্টিনে থাকা ওই ব্যক্তিরা ভিয়েতনামে কারাগারে ছিলেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশে পাঠানো হয়েছে। তাদের ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ এসেছিল ভিয়েতনাম থেকে।
দালালের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খোয়ানো এই শ্রমিকেরা গত ১৮ আগস্ট ভিয়েতনাম থেকে দেশে ফেরেন। বিশেষ একটি ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরার পর থেকে দফায় দফায় তারা জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হন। কোয়ারেন্টাইন শেষ হওয়ার দিন দুয়েক আগে থেকে তারা যেখানে ছিলেন, সেখানে পুলিশের তৎপরতা বাড়ে।
অভিবাসী শ্রমিকদের প্রত্যেকে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর ছাড়পত্র নিয়ে ভিয়েতনামে যান। শ্রমিকেরা বলছেন, তারা কোনো অন্যায় করেননি। পুলিশি তৎপরতার কারণও বুঝতে পারছেন না তারা।
শ্রমিকেরা প্রত্যেকে চার-পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে ভিয়েতনামে যান। দালালেরা বলেছিলেন, ভিয়েতনামে সোফা ফ্যাক্টরিতে কাজ দেবেন। কিন্তু সেই কাজ তারা পাননি। ওখানে পৌঁছানোর পর ছোটখাটো দু-চারটে কাজ দিলেও কোনোটিই দীর্ঘমেয়াদী ছিল না।