বিশ্বকাপের দল ঘোষণার একদিন আগে অবসর ভেঙে ফিরতে চেয়েছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। কিন্তু নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের ডাকে সাড়া দেয়নি সাউথ আফ্রিকা ক্রিকেট। বোর্ডের এমন সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক বলছেন রেসি ফন ডার ডুসেন। প্রোটিয়া মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানের দাবি, ভিলিয়ার্স দলে ঢুকলে কঠিন এক সমস্যায় পড়ে যেত সাউথ আফ্রিকা!
কি সেই সমস্যা? ডুসেনের ভাষ্য ভিলিয়ার্সের অন্তর্ভুক্তি ওলট-পালট করে দিতো সাউথ আফ্রিকার বিশ্বকাপ দলটাকেই। এবির অনুপস্থিতিতে যেভাবে এগোচ্ছিলো দল, তাকে দলে টানলে বাধা পড়তো সে প্রক্রিয়ায়। হয়তো বাদ পড়তে হত কোনো একজন ব্যাটসম্যানকে যেটা ফন ডুসেনেরই হওয়ার সম্ভাবনা ছিল বেশি।
‘দেখুন, ভিলিয়ার্সের ব্যাপারে উত্তর দেয়ার মতো যোগ্য ব্যক্তি আমি নই। কারণ, এই বিষয়টিতে আমার কোনো হাত নেই। তবে তিনি যদি অবসর না নিতেন তাহলে সরাসরি আমাকে তার পক্ষে পেতেন।’
‘কিন্তু দল ঘোষণার একদিন আগে আপনি এসে বলতে পারেন না যে আমি দলে খেলতে চাই। এই দলটা গুছিয়ে আনতে আমরা এক বছর কাজ করেছি। আমি বলছি না তিনি ভুল করেছেন কিংবা ঠিক কাজটাই করেছেন। সুতরাং দয়া করে আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা করবেন না। তবে তিনি ফিরলে দলে একটা কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হত। হয়তো কঠিন কোনো সমস্যা না, কারণ ভিলিয়ার্স এখনো বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন। আমার মনে হয় তিনি যেভাবে ফিরতে চেয়েছেন তার প্রক্রিয়া ঠিক ছিল না!’
দলে ফেরার যে একদমই সুযোগ পাননি ভিলিয়ার্স এমনও নয়। বছরের শুরুতে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলার সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও তা গ্রহণ না করায় বিশ্বকাপে ভিলিয়ার্সকে আর ফেরায়নি সাউথ আফ্রিকান ক্রিকেট বোর্ড। ফন ডুসেনও বলছেন সেখানেই বড় ভুল করে বসেছেন এবি।
‘আমি বিশ্বাস করি ওটিস গিবসন (সাউথ আফ্রিকার কোচ) এবং ফ্যাফ ডু প্লেসিস (অধিনায়ক) তাকে সুযোগ দিতে চেয়েছিলেন। এমনকি চাপ কমিয়ে বিশ্বকাপেও খেলতে বলেছিলেন। তাকে অনেক সুবর্ণ সুযোগ দেয়া হয়েছিল, কিন্তু তিনি না বলেছেন। বলেছেন, অবসর নিয়েই তিনি খুশি। আর এটাই যথেষ্ট।’
ভিলিয়ার্সকে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ফন ডুসেনকে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার সুযোগ করে দেয় সাউথ আফ্রিকা। সেই সিরিজে আলো কেড়ে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পান এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। বিশ্বকাপে আসার আগে মাত্র নয় ম্যাচে পাঁচটি ফিফটি পেয়েছেন। টানা হারের বৃত্তে থাকা প্রোটিয়াদের মধ্যে তিনিই আছেন ফর্মে। ১১৩ রান নিয়ে কুইন্টন ডি ককের পর তিনি সাউথ আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক আসরে।