চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ভিলিয়ার্সদের অলআউট করে কোহলিরাও বিপাকে

কেউ সিমে হিট করাচ্ছেন। কেউ ইনকাটার মারছেন। কেউ আউটসুইং করাচ্ছেন। কেপটাউনের পেস স্বর্গে সাউথ আফ্রিকা এবং ভারতীয় পেসারদের এভাবে সারাদিন আগুন ঝরাতে দেখা গেল। প্রথমদিন শেষ হওয়ার অনেক আগে ভিলিয়ার্সরা গুটিয়ে যায় ২৮৬ রানে। ভারত আবার ব্যাট করতে নেমে ২৮ রান তুলতে কোহলির উইকেটসহ তিনজনকে হারিয়েছে।

তিন টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে প্রথমদিন পেসাররা কী করেছেন আরেকটি তথ্য থেকে সেটি বুঝতে সুবিধা হবে। স্পিনারদের মধ্যে একমাত্র অশ্বিন দুটি উইকেট নিয়েছেন। তার ভেতর একটি আবার রানআউট। দুই দলের বাকি সব উইকেট পেসারদের দখলে। এর মধ্যে আবার সাউথ আফ্রিকান পাঁচ ব্যাটসম্যানই উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন। দুইজন এলবিডব্লিউ, একজন বোল্ড। অর্থাৎ মাঠের অন্যদিকে কোথাও কোনো ক্যাচ নেই।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

স্বাগতিক সাউথ আফ্রিকা টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। পাঁচ পেসার নিয়ে খেলতে নামা ভারত প্রথম ওভারেই সাফল্য পায়। ভুবনেশ্বর কুমারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন এলগার (০)। তৃতীয় ওভারে মার্করামকে (৫) এলবিডব্লিউ বানান ওই ভুবনেশ্বর। পঞ্চম ওভারে আবার তার আঘাত। এবার ফিরতে হয় অভিজ্ঞ আমলাকে (৩)।

দ্রুত তিন উইকেট হারানোর পর ভিলিয়ার্স এবং ডু প্লেসিস হাল ধরেন। দুজনে ১১৪ রানের জুটি গড়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে চেষ্টা করেন। ৩৩তম ওভারের শেষ বলে এই জুটি ভাঙেন জসপ্রিত বুমরাহ। ভিলিয়ার্সকে ব্যক্তিগত ৬৫ রানে বোল্ড করেন। ৮৪ বলে ১১টি চারে এই রান করেন তিনি। কোনো ছয়ের মার নেই। প্লেসিস ফেরেন ৩৬তম ওভারে। হার্দিকের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। ১০৪ বলে ১২টি চারে ৬২ করে যান। তার ইনিংসেও কোনো ছয়ের মার নেই।

এরপর জেঁকে বসার চেষ্টা করেন ডি-কক। প্রথম তিন উইকেট শিকার করা ভুবনেশ্বর সেটা হতে দেননি। অর্ধশতক থেকে সাত দূরে থাকতে তাকে বিদায় করেন। ৪০ বলে সাতটি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি। মোহাম্মদ সামির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ফিল্যান্ডার করে যান ২৩। কেশব মহারাজকে (৩৫) রানআউট করেন অশ্বিন। অশ্বিন পরে রাবাদাকে (২৬) উইকেটের পেছনে ধরা পড়তে বাধ্য করেন। অশ্বিন দ্বিতীয় উইকেট দখল করেন মরকেলকে এলবিডব্লিউ বানিয়ে।

ভুবনেশ্বর কুমার চার উইকেট নিতে ৮৭ রান খরচ করেন। একটি করে উইকেট সামি, বুমরাহ এবং হার্দিকের।

দিনের খেলা ১১ ওভার বাকি থাকতে ব্যাট করতে নামে ভারত। পঞ্চম ওভারে ফিল্যান্ডারের বলে এলগারের হাতে ক্যাচ দেন ওপেনার মুরালি বিজয় (১)। এক ওভার বাদে স্টেইনকে পুল করতে যেয়ে আকাশে উঠিয়ে দেন শেখর ধাওয়ান (১৬)। পিচে দাঁড়িয়ে স্টেইন নিজেই ক্যাচ নেন। অফস্টাম্প ঘেঁষা শর্টবাউন্সারে ব্যাট ‘দেব কি দেব না’ করতে করতে দিয়ে ফেলেন নববিবাহিত কোহলি। আর তাতেই ৫ রানের মাথায় ধরা পড়েন উইকেটরক্ষকের হাতে। ১৮ বল স্থায়ী হয় তার ইনিংস।