‘অমর একুশে’ এখন শুধুই আমাদের নয় বরং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ভাষার জন্য জীবন দেওয়া বাঙালিদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে সবার মাতৃভাষার মর্যাদা নিশ্চিত করতে দিবসটির এ স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। সব মিলে এদেশে এসে ভিনদেশিরাও প্রেমে পড়ে যায় বাংলার।
একটি বেসরকারি মোবাইল টেলিফোন কোম্পানীর বিজ্ঞাপনের দৃশ্য এটি। ক’দিন ধরেই বাংলাদেশের টেলিভিশনগুলোতে খুব চলছে এ গানটি। মনোযোগ দিয়ে না শুনলে বোঝা দায়, গানটি গাওয়া হচ্ছে অন্য ভাষায়। কেননা, এর সুর-বাঙালির চির চেনা।
অমর একুশের এ গান এখন বৈশ্বিক। ভাষার জন্য প্রাণ দিয়ে ক্যালেন্ডারের একটি দিনকেও বৈশ্বিক করে তুলেছে এ দেশের মানুষই। বাংলাকে তাই সমীহ করেন সবাই।
জাপানী নাগরিক এরিক ভূঁইয়ান বলেন, এ ভাষা আমার কাছে ভালো লাগে। আর বইয়ের ভাষা আর কবিতার ভাষা ভালো লাগে। বাংলাদেশে কাজ করতে ভিনদেশিরাও তাই বাংলায় মজে ওঠেন। মিলে যান বাংলার মায়ায় আর সুরের জাদুতে।
বাংলার গান ছুঁয়ে যায় ভিনদেশিদের হৃদয়ও। তাদেরও দারুণ গভীর থেকে উঠে আসে বাংলার সুর।
বাংলা আর বাংলার সুর মুগ্ধতা ছড়ায় দুনিয়াজুড়ে। আর এ গৌরব তাজা প্রাণের বিনিময়ে বাঙালির অর্জন।