সুপ্রিম কোর্ট এলাকা থেকে বিক্ষোভে ছাত্র-জনতার উপর পুলিশের জল কামান, টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেটে অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন, ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি মোর্শেদ হালিম, লালবাগ শাখার নেতা রাফিন জয় এবং উদীচীর সম্পাদক আরিফ নুর। আহতদের ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার বেলা ১২টায় টিএসসি থেকে সুপ্রিম কোর্ট মাজার গেটের দিকে বিক্ষোভকারীরা যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। বিক্ব্যাষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগুতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশ জল কামান ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। সংঘর্ষে আহত হয় বেশ কিছু সদস্য।
ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদে সারাদেশে আগামীকাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। সুপ্রিম কোর্টের ভাস্কর্যটি আগের জায়গা পুনরায় স্থাপনের জন্য তারা সরকারের কাছে দাবি জানায় ।
ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি তুহিন কান্তি দাশ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, পুলিশের জলকামান এবং কাঁদনে গ্যাসে আহত হয়েছে ২৫-৩০ জন। তিনি অারও বলেন, লিটন নন্দীকে না ছাড়া পর্যন্ত শাহবাগ থানার সামনে তারা অবস্থান করবে।
ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা স্বীকার করে রমনা জোনের ডিসি মারুফ হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, হাইকোর্ট এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ। সেকারণেই ছাত্রদের ছত্র ভঙ্গ করতে কিছু টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতের বেলা সরিয়ে নেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টের সামনে স্থাপিত গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে নির্মিত ভাস্কর্যটি। এরপর থেকে ভাস্কর্য অপসারণ করার প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টের সামনে বিক্ষোভ করে গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের কর্মী, ছাত্র ইউনিয়ন,সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, উদীচীসহ আরও কিছু ছাত্র ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: