করোনাভাইরাস এর সংক্রমণ ঠেকাতে ইতোমধ্যে পুরোপুরি লকডাউন করা হয় গোটা শহর। এই অবস্থায় ধুমধাম করে বিয়ে করেন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক শাহীন কবির। গত পাঁচ এপ্রিল এই বিয়েতে সত্তর জনের মতো বরযাত্রীর সমাগমের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনও ছিলো। পাশাপাশি এলাকার করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা দুয়েকজনও বিয়েতে ছিলেন।
এমন মহামারি ও একই সাথে সরকারের কড়া লকডাউন অমান্য করে কেন বিয়ে করলেন সরকারি কর্মকর্তা? চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সারা শহরে শহরে। কেউ কেউ অনুসন্ধান শুরু করে কেন বিয়ে করছেন তিনি? যেহেতু পরিবার পরিকল্পনায় কাজ করেন সেহেতু পরিবার ছাড়া বাস্তব অভিজ্ঞতা হয়তো পেতেন না। পরিবার হলেই না পরিকল্পনা। তিনি হাতে কলমেই তা করতে চেয়েছেন। একজন ডেডিকেটেড কর্মঠ মানুষের বৈশিষ্ট্যই এমন।
বিয়ের পরেই হয় হানিমুন। স্বাভাবিক অবস্থায় হানিমুনের জন্য সিঙ্গাপুর পাতায়া নেপাল এসব জায়গা ঘোরাঘুরিতে অনেক খরচ। কিন্তু এই মুহূর্তে এমন জনসমাগম করে বিয়ে করলে করোনা আক্রান্ত হওয়ার যে পরিমাণ ঝুঁকি তাতে হানিমুনটা আইসিইউতেই করে ফেলা যায়। খরচও কম করোনায় আক্রান্ত হওয়ার থ্রিলিং অভিজ্ঞতাও পাওয়া গেলো।
দুটির কোনটি মূল কারণ? টেলিপ্যাথিক যোগাযোগের মাধ্যমে শাহীনের কাছে জানতে চাওয়া হয়। মুচকি হেসে বলেন: ‘ইয়ে, ভেবেছিলাম হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে থেকে হানিমুন সেরে ফেলবো। বিয়ের পর একান্তভাবে সময় কাটানোর জন্য ও পরিবার পরিকল্পনা করার জন্য এই সময়ের চেয়ে সেরা কোন সময় আসবে না তাতো জানেনই। বুঝলেন, আজকাল একটু চালাক না হলে টেকা কঠিন। ’
লকডাউনে বিয়ে করার জন্য জেল হতে পারে। এমন খবর পাওয়ার পর অবশ্য হানিমুন আইসিইউতে করার বিষয়ে বেশ ইতিবাচক দেখা গেছে তাকে। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন, ‘জেলের চেয়ে মে বি আইসিইউ ভালো হবে। কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনের চেয়েও নির্জলা আইসিইউ। জেলে গেলে তো বউকে পাশে পাবো না। আইসিইউতে থাকলে বউ অন্তত কপালে হাত বুলাতে পারবে। বউয়ের ভালোবাসায় আইসিইউ লাইফটাও খারাপ কাটবে না।’
কিন্ত এতজন গেস্ট এলো বিয়েতে- এদের সবারই করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতজন নিয়ে আইসিইউতে গেলে কি প্রাইভেসি পাবেন? এই প্রশ্ন করামাত্র তিনি নার্ভাস হয়ে বলেন: ‘ও হ্যাঁ, তাইতো। আচ্ছা একটু নিরিবিলিতে শুধু দুজন সময় কাটানোর জন্য কোন আইসিইউ ভালো হবে, সাজেস্ট করতে পারেন?’
২.
স্কটিশ স্ক্রিনরাইটার পিটার মে অনেকটা হঠাৎ করেই ঔপন্যাসিক হিসেবে আবির্ভুত হন। কিন্তু গল্প খুবই অবাস্তব ভেবে তার একটি উপন্যাস ছাপতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন প্রকাশক। কাকতালীয়ভাবে ১৫ বছর পর এসে তার সেই উপন্যাসের নামটিই মানুষের মুখে মুখে ফিরছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তার ঠেকাতে বিশ্বে চলছে লকডাউন। হ্যাঁ- পিটার মের উপন্যাসের নামটিও লকডাউন। ২০০৫ সালে তিনি এক বৈশ্বিক মহামারী কল্পনা করে লিখেছিলেন এ উপন্যাস। প্রকাশক বলেছিলেন এ গল্প খুবই অবাস্তব ও গাঁজাখুরি।
করোনাভাইরাস মহামারীর বাস্তব অভিজ্ঞতা যখন হলো তখন খুলে গেল প্রকাশকের চোখ। সম্প্রতি উপন্যাসটি প্রকাশ পেয়েছে।
এ রোমাঞ্চ উপন্যাসের গল্পের ঘটনাস্থল লন্ডন। বৈশ্বিক মহামারীর ভরকেন্দ্র তখন এই শহর। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক প্রতিষ্ঠান। অবশ্য এ গল্প পিটার মের একেবারে কল্পিত ঘটনা নয়। তিনি উপন্যাসের গল্পকে যতোটা সম্ভব বাস্তব করে তুলতে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মহামারী মোকাবেলায় প্রস্তুতি সম্পর্কিত ২০০২ সালের কিছু নথিপত্র থেকেও তথ্য নিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে পিটার মে বলেন, যখন বইটি লিখি তখন বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যদ্বাণী করছিলেন- বার্ডফ্লু হতে যাচ্ছে আগামী বৈশ্বিক মহামারী। এটা খুবই ভীতিকর একটা ব্যাপার এবং সত্যিই খুবই সম্ভাব্য একটি ব্যাপারও। এ কারণে এটি নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করি এবং একটা আইডিয়া পাই- আচ্ছা এই মহামারী যদি লন্ডন থেকে শুরু হয়? এমন একটি শহর যদি সম্পূর্ণ লকডাউন হয়ে যায় তাহলে কী কী ঘটতে পারে?
বার্ডফুলও ভাইরাসজনিত রোগ। যদিও নভেল করোনাভাইরাস থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। কিন্তু পিটার মের কল্পিত লকডাউন একেবারে মিলে যাচ্ছে। ১০ লক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত লাখে লাখে সেলফ আইসোলেশনে।
পিটার মের প্রকাশক আশা করছে, এই বইয়ের কাটতি হবে অসম্ভব রকম। বইটি অ্যামাজন ইউকেতে কিন্ডল ফরমেটে পাওয়া যাচ্ছে। ৩০ এপ্রিল থেকে পেপার ব্যাক এবং অডিওবুক ফরমেটেও পাওয়া যাবে।
৩.
মাসখানেক আগের ঘটনা মনে পড়ে যাচ্ছে। এক ছাত্রী খুব টেনশন করছে- চিকেন খেয়েছে। এখন ওর জ্বর এসেছে। তার কি করোনা হয়েছে? ছাত্রীদের মধ্যে কৌতূহল। চিকেন থেকেই করোনা নাকি ঠাণ্ডা লাগলেই করোনা হতে পারে? হাঁচলে কি? কাশলেই বা কি? সাধারণ সর্দি জ্বর না আলাদা উপসর্গ? এই রোগের প্রাথমিক উপশম কী? খাদ্যের মধ্যে রোগের উৎপত্তি ও প্রভাব আছে কী রকম সেই সব প্রশ্ন। ইন্টারনেটের কল্যাণে অনেক তথ্যই হাতে আসছে প্রতিনিয়ত ও অবিরত। এখানে যেকথা জানানো দায়িত্ব যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশিত ও প্রশাসন পরিবেশিত তথ্য ও নির্দশনাই আমাদের অনুসরণ ও মানতে হবে। সেটাই হবে আমাদের আশু কর্তব্য বা কারণ হু’র কথা অনুযায়ী রোগটি অতি সংক্রমণধর্মী। কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। যা আমাদের চোখের সামনে রয়েছে। চীন থেকে ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। করোনার ওষুধ এখনো পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। এর চটজলদি নিদান বা সমাধান হল সামাজিক দূরত্ব। যার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের সিদ্ধান্ত হল দেশজুড়ে তিন সপ্তাহের তালাবন্দি অর্থাৎ জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব কিছু তালাবন্ধ। নিজেকে ঘরের ঘেরাটোপে ধরে রাখা এবং সঙ্গরোধ বা কোয়ারেন্টাইন করা।
স্কুল কলেজ বন্ধ হয়েছে চলতি মাসের গোড়া থেকেই। সংক্রমণ প্রতিহত করতে ও সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের উদ্দেশ্যে। কিন্তু সে কথা বলতে পড়াশোনা বন্ধ হয়নি। সেজন্য ধন্যবাদ দিই আমাদের আধুনিক ব্যবস্থা ও টেকসেভি মানসিকতার যার জন্য ভারচুয়াল ক্লাস ও ইন্টারনেটের সাহায্যে আমি ও আমার মতো অনেকেই পৌঁছে যাচ্ছি আমার মেয়েদের কাছে। যেমনটা শাব্দিক পৌঁছে যাচ্ছে আপনাদের কাছে যেখানেই থাকুন।
সেদিক থেকে দেখলে আমি অনেকটা স্বাছন্দে কাটাচ্ছি এই সোশ্যাল ডিসটেন্সিংয়ের সময়েও ছাত্রদের কথা ভাবছি ও তাদের সাথে পড়ছি। শিল্পকর্মে ব্যস্ত। অনেক দিন পর মায়ের হাতের রান্না উপভোগ করছি ও মায়ের সাথে দেদার আড্ডা দিচ্ছি। কিন্তু বাড়ি থেকে কাজ করা অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়। কী করবেন ভাবছেন? একটা খুব সহজ উপায় বলি। নিজেকে দেখুন। আজ্ঞে হ্যাঁ। বাড়িতে আয়না আছে তো। দাঁড়ান ও দেখুন। কি মনে হচ্ছে? কেমন লাগছে? ক্যাটরিনা কাইফ বা অক্ষয় কুমারের সাথে তুলনা করতে বলছি না। নিজেকে নিজের মতো দেখুন। ত্বকের জেল্লা বাড়াতে চান। রোজকার কাজ কর্মের মাঝে সম্ভব হয় না। অফিস থেকে ফিরে আর ইচ্ছা করেনা। সব সমস্যার একসাথে মুক্তি পেতে পারেন। যেতেও বলছি না- করতেও বলছি না। বলবো যোগ করতে। বাড়িতে বসেই করা যাবে এমনসব ভালো থাকার দেখে নিতে পারেন ফেসবুক বা ইনস্ট্রাগ্ৰাম আ্যকাউন্টে।
নিজের হলো। এরপর আরেকটু পাশে দেখুন- নিজের ঘরের দিকে তাকান। এখানেই এখন চব্বিশ ঘণ্টা থাকতে হবে তাও অন্তত এক মাস। যেসব জিনিস খুঁজে পাননি। খুঁজে বার করুন। পুরনো অথবা কিংবা জন্মদিনের উপহার স্বরূপ মায়ের দেওয়া রান্নার বই ফাইল চাপা পড়েছিল। খুঁজছেন? অপ্রয়োজনীয় জিনিসকে বিদায় করুন। ঘরের আসবাবের সাজ ও স্থান বদল করতে পারেন। এতে একঘেঁয়ে ভাব কমবে। মন হবে ফুরফুরে।
যাদের একটু বাগানের শখ আছে বা খোলা জমি আছে- গাছ লাগাতে পারেন ও ভালোবাসেন। এবার অন্য ভাবে করুন। মিনিয়েচার গার্ডেনের মাধ্যমে- উঁহু টব কিনতে হবে না। পড়ে থাকা কোল্ড ড্রিংক্সের বোতল প্লাস্টিকের খাবারের কাপ বা বাক্স বা কসমেটিকসের শিশি বোতল দিয়ে বানাতে পারেন টব- করতে পারেন মিনি গার্ডেন। পড়ার টেবিলের কোনায় বা বইয়ের তাকে ড্রেসিং টেবিলের উপরে জায়গা পেতে পারে এই বাগান। এতে সাজ শয্যার একঘেঁয়েমি কাটবে।
ভুলে গিয়েছিলেন গিটারটা বা দেরাজে পড়ে আছে তবলা। ঝেড়ে মুছে নিন। শুরু করুন। চমকে দিন সকলকে। বহু দিন সরগম সাধেননি বা ঘুঙুর পায়ে তোলেননি। বের করে আনুন। পরবর্তী কে উৎসাহ দিন। এতে নিজের প্রতি বিমুগদ্ধতা আসবে। মন হবে শান্ত। অনেক জট কেটে যাবে।
যারা খুব প্রযুক্তি স্বাছন্দ্য এখনকার ভাষায় কিংবা একা ফ্ল্যাটে বন্দি তাদের জন্যে বিভিন্ন কোর্স আছে। ভেবে দেখতে পারেন। খুঁজে নিন মনের মতো। ঘরে বসেই কিছু রেসিপি শিখে সাধারণ উপায়ে বানানো যাবে। করতে পারেন। আর হ্যাঁ ফটো তুলে মাকে পাঠাতে করতে ভুলবেন না।
আমরা বাঙালিরা খুবই ভ্রমণ পিপাসু। নিজের প্রিয় ভ্রমণের ইতিবৃত্তের একটি দিন পুস্তিকা বা করতে পারেন। বাঙালি শুধু ঘোরে না নতুন জায়গা আবিষ্কার ও করে। লিখে ফেলুন। এই কাজটি অনেকেই করতে পারেন। স্মৃতিকে সততই দুখের না করে সুখের খোঁজে একবার ঝালিয়ে নিন। দেখবেন নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করা যাবে। আরেকটা কাজ শুরু করা যায় তা হল লেখা। করোনা অভিজ্ঞতা লিখুন। আর একটা কথা অবশ্যই – ঘুমান। দিনে অন্তত আট ঘন্টা ঘুমান। এলার্মের কোনো চিন্তা নেই। দৌড়ানো নেই নেই কাজের পর কাজের চাপ। নেই মাথায় বিশমন ভারী সেই বোঝা যা দেখা যায় না। তাই এখন বিশ্রাম করুন। নির্ভেজাল ঘুমান।
আরেকটা কথা ছিল বলবো বলবো না করে বলেই দিলাম সেটা হল নিজস্বি বা সেলফি। নিজস্বির একটা সংগ্ৰহ গড়ুন। এ আবার নতুন কি ভাবছেন? এতোদিন তো বাসে ট্রামে, গাছে পার্কে, আইফেল টাওয়ার নীচে ওপরে, ভিক্টোরিয়া কিংবা ময়দানে, মেট্রোর স্টেশনে চায়ের দোকানে, শপিং মলে দার্জিলিংয়ে অনেক হয়েছে। নিজের বাড়ির বিভিন্ন জায়গা আবিষ্কার করুন দেখি। নয়তো উপরোক্ত কোনো একটা কাজের সেলফি চলতে পারে। করোনা সংক্রান্ত বই ও বানানো যেতে পারে প্রতিদিনের দলিল হিসেবে।
সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কথাটা শেষের জন্য তুলে রেখেছিলাম। নিশ্চয়ই আপনারা অনেকেই আশা করছিলেন বলছি না কেন? এই ভাবছিলেন। ঠিক তো। এইবার আমরা অতিরিক্ত ব্যস্ততার অবসান করে করোনা করেছে কাজটি– পেরেছি পরিবারকে সময় দিতে। দাদার সাথে লুডো খেলবে আজ। দাদির গল্প শুনবো। বাবার পুরনো ডাইরির সংগ্রহ মেলে ধরবো আর ভাববো এরকম করলে হয়, মার সাথে আর ঝগড়া নয় রান্না শুরু করে দেবো, ছেলেমেয়েদের সাথে একসাথে পড়তে বসবো- ওদের আঁকার বইয়ে নিজেও হিজিবিজির মতোই হারিয়ে যাবো। আর হ্যাঁ প্রতিজ্ঞা করবো করবো কারো সাথে কোনো ঝগড়া নয়।
সব ভালো যার শেষ ভালো তার। নাহ্ শেষ ভালো যার সব ভালো তার? আমরা যারা ঘরে বসে মুঠোফোনে বা কম্পিউটারের দর্পনে চোখ রেখে শাব্দিক ই পত্রিকা পড়ছি- তাদের জন্য এতক্ষণের সমস্ত প্ল্যান ঠিক মনে হচ্ছে- কারণ সেই নিশ্চয়তা নিজেদের দিতে পারি আমরা। কপালে ভাঁজ আসে না লেখাগুলো পড়তে গিয়ে। সরকারের বা প্রশাসনের জন্য অপেক্ষা না করে যদি আমরা কিছু সাহায্য তাদের দিকে তুলে ধরি এবং যারা আমাদের নিত্য রোজনামচায় যাদের ছাড়া এক পাও চলতে পারি না তাদের যেন মর্যাদা ক্ষুণ্ণ না হয় সেদিকটা আমাদের সকলকে দেখতে হবে অবশ্যই। আর্থসামাজিক ব্যবধান ভুলে সহজ সরলভাবে জীবন কাটাই- আতঙ্কে বাজার খালি না করে সাধারণ সচেতনতা নাগরিকতা আমাদের পাথেয় হোক। আমার বা আপনার কাছেই শুধু নয় সারা পৃথিবীর কাছে এই পরিস্থিতি এক অনাবিষ্কৃত অনন্য ভয়াবহতা। শুধু চিকিৎসা শাস্ত্র অথবা বিজ্ঞানের পরীক্ষা নয়- ধৈর্য সহনশীলতা, সহমর্মিতা ও ঐক্যের প্রশ্ন। এর উত্তর আমরা সঠিক রেখে যেতে পারবো- নিশ্চয়ই পারব।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)