চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ভারতে মেয়েদের বিয়ের বয়সসীমা বাড়িয়ে পুরুষের সমান করা হলো

নারীর বিয়ের ন্যূনতম বয়সসীমা ১৮ বছর থেকে ২১ বছর করার প্রস্তাব পাস হয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়।

গত বুধবার ১৫ ডিসেম্বর এ প্রস্তাব পাসের মধ্য দিয়ে নারী ও পুরুষ উভয়ের বিয়ের বয়স সমান করতে চলেছে দেশটির সরকার। যদিও এরই মধ্যে সরকারের এ সিদ্ধান্ত বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং সমাজকর্মী সংগঠনগুলোর বিরোধিতার মুখে পড়েছে।

প্রস্তাব পাসের সমালোচনা করে বিরোধিতা করেছে ‘অল ইন্ডিয়া মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (এআইএমআইএম)-এর প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি ও সমাজবাদী পার্টিসহ আরও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল।

এদিকে প্রস্তাবের বিরোধিতাকারীদের ‘তালেবানি মানসিকতা’র বলে সমালোচনা করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি। তার মতে: নারীর স্বাধীনতা, মর্যাদা ক্ষমতায়ন ও সাংবিধানিক সাম্যের বিরোধীতাকারীদের কোনো কিছু গ্রহণ করা হবে নয়।

বাল্যবিয়েকে বেআইনি হিসেবে চিহ্নিত ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের নির্যাতন রোধ করতে বিয়ের ন্যূনতম বয়স নির্ধারণে প্রস্তাবটি আনা হয়েছে।

গত ২০২০ সালের স্বাধীনতা দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা দিয়েছিলেন: মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স বাড়িয়ে ২১ করা হবে। ওই বছর জুনে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে জয়া জেটলিকে নিয়ে ১০ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। চলতি ডিসেম্বরে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় টাস্কফোর্স। এতে বয়স বাড়ানোর পক্ষেই মত দেয়া হয়। এরপরই মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন পায়।

১৯৭৪ সালের আইন অনুসারে ভারতে নারীর বিয়ের বয়স ১৮ বছর এবং পুরুষের বিয়ের বয়স ছিলো ২১ বছর।

নতুন প্রস্তাবনা অনুযায়ী শিশু বিবাহ আইন, বিশেষ বিবাহ আইন ও হিন্দু বিবাহ আইনে সংশোধন আনতে যাচ্ছে ভারত সরকার। দেশটির সংসদে প্রস্তাবটি পাস হলেই চালু হবে নতুন এ ব্যবস্থা।

ইউনিসেফের রিপোর্ট বলছে: ভারতে প্রতিবছর ১৫ লাখ মেয়ের বিয়ে ১৮ বছরের কম বয়সে হয়। এক্ষেত্রে বিশ্বের মধ্যে এক নাম্বারে ভারত। এখানে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সি মেয়েদের ১৬ শতাংশ বিবাহিত। আগের থেকে ১৮ বছরের কম বয়সি মেয়েদের বিয়ের সংখ্যা কমেছে। তবে তা এখনও যথেষ্ট বেশি।