চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ভারতের স্কুলে চিতা-চাঞ্চল্য (ভিডিও)

ভারতের একটি স্কুলে চিতাবাঘের হামলায় আহত হয়েছেন এক বেপরোয়া ফটোগ্রাফার, বন বিভাগের কর্মকর্তাসহ ৪ জন। স্কুল কমপ্লেক্সের সুইমিং পুলের কাছে চিতার ছবি তোলার এক পর্যায়ে বেশি কাছে চলে গিয়ে বেশ বিপত্তিতে পড়েছিলেন ওই চিত্রগ্রাহক। তবে রোববার স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের কেউ হতাহত হয়নি।

ভারতের বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ড এলাকার ভিবজিওর স্কুলে রোববার সকালে স্কুলের সিসিটিভিতে প্রথম ধরা পড়ে চিতাবাঘের ঘুরে বেড়ানোর ছবি। স্কুলে চিতাবাঘ ঘুরে বেড়াচ্ছে, সিসিটিভিতে তা দেখার সঙ্গে সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষ খবর দেয় বন বিভাগ এবং পুলিশের কাছে।

সঙ্গে সঙ্গে স্কুলে এসে হাজির হন বন বিভাগের কর্মীরা এবং স্থানীয় থানার পুলিশ। চিতাবাঘের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি-উদ্ধার অভিযান। বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় চেতনানাশক গুলি ছুড়ে কাবু করা হয় তাকে। তার পর চিতাবাঘটিকে স্থানীয় পশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

কিন্তু খুব সহজে ধরা দেয়নি চিতাবাঘটি। আর তাকে ধরাও কী এতই সোজা? তল্লাশির সময় তার বিদ্যুতের গতি! চিতাবাঘটির হামলায় আহত হয় চার জন। তাঁদের মধ্যে তিন জন বন দফতরের কর্মী। এক জন স্থানীয় ছবি শিকারি। স্কুলের সুইমিং পুলের পাশে ছবি তোলার জন্য চিতাবাঘটির খুব কাছে চলে গিয়েছিলেন তিনি। বিদ্যুতের গতিতে ছিটকে এসে তাঁকে আক্রমণ করে চিতাবাঘটি। খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় চিতাবাঘে-মানুষে। ওই ব্যক্তির হাতে-পায়ে কামড়ে দেয় চিতাবাঘটি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হই-হট্টগোল, চিৎকার-চেঁচামেচির মধ্যেই স্কুল থেকে পালিয়ে চিতাবাঘটি আশ্রয় নেয় ঝোপঝাড়ের মধ্যে। চলতে থাকে চিতাবাঘে-মানুষে লুকোচুরি খেলা। স্কুলের বাইরে জমে থাকা ভিড়টাকে সামলাতে পুলিশ তখন হিমশিম খাচ্ছে। বেশ কিছু ক্ষণ পরে চিতাবাঘটি পাঁচিল টপকে ফের স্কুলে ঢুকে পড়ে। বন দফতরের কর্মীরা জানিয়েছেন, এর পরেই চিতাবাঘটিকে ধরতে ঘুম পাড়ানি গুলির সাহায্য নেওয়া হয়।

তবে হোয়াইটফিল্ড এলাকায় চিতাবাঘ হানার ঘটনা নতুন নয়। এর আগে ২০১২ সালে এই এলাকায় চিতাবাঘ ঢুকে পড়েছিল। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে কর্নাটকের চিকমাগালুর জেলার টিএমএস স্কুলেও একবার একটি চিতাবাঘ ঢুকে পড়েছিল। জখম করেছিল তিন জনকে। সঙ্গে সঙ্গে কর্তৃপক্ষ স্কুল খালি করে দিয়ে খবর পাঠিয়েছিলেন বন দফতরের কর্মীদের। তাঁরা এসে ধরেছিলেন চিতাবাঘটিকে।