ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই করার অঙ্গীকার করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও এ নিয়ে লড়ার ঘোষণা দিলেন তিনি।
ইমরান খান বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে ভারতের এ পদক্ষেপ। ভারত কাশ্মীরে জাতিগত নির্মূল অভিযান চালাতে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বকে সোমবার ভারত সরকারের নেয়া সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানাতে চান তিনি।
পাকিস্তানের পার্লামেন্টে মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে পর্যালোচনারত বিষয়টি আমরা সাধারণ পরিষদে তুলব। প্রতিটি ফোরামে রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে আমরা কথা বলবো… গণমাধ্যমের কাছে আমরা এটি তুলে ধরব এবং সারা পৃথিবীর মানুষকে জানাব।’
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, কাশ্মীরের ওপর থেকে স্বায়ত্তশাসনের অধিকার তুলে নেয়ার ফলে ভারত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ওই এলাকায় জনসংখ্যার কাঠামো পরিবর্তন করতে পারবে।
‘আমার ভয় হচ্ছে, (ভারত) এখন কাশ্মীরে জাতিগত নির্মূল অভিযান চালাবে। তারা স্থানীয় লোকজনকে সরিয়ে দেবে এবং অন্যদের সেখানে নিয়ে এসে তাদেরকেই সংখ্যাগরিষ্ঠ করে তুলবে। ফলে স্থানীয়দের তাদের দাস হওয়া ছাড়া আর কিছু করার থাকবে না।’
ভারতের সংবিধানে যে অনুচ্ছেদের মাধ্যমে কাশ্মীরকে স্বায়ত্তশাসন দেয়া হয়েছিল, সেই ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলুপ্তির একদিন পরও কাশ্মীর পুরো বিশ্ব থেকে বিছিন্ন অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ভারতের অংশে দীর্ঘদিন ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদী সহিংসতা চলছে, যার ফলে গত কয়েক দশকে কয়েক হাজার মানুষ মারা গেছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহায়তা করার জন্য পাকিস্তানকে সবসময়ই অভিযুক্ত করে ভারত, যা বরাবরই নাকচ করে আসছে পাকিস্তান। তবে পাকিস্তানের দাবি, তারা শুধু জম্মু-কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী জনগণকে নৈতিক আর কূটনৈতিক সমর্থন দিচ্ছে।