নটিংহ্যাম থেকে: বড় মঞ্চে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ মানেই মেঘলা আকাশ। বিশ্বকাপে যখন আবারও দল দুটির মাঝে লড়াইয়ের উপলক্ষ, তখন নটিংহ্যামের আকাশ মেঘে ঢাকা। বৃহস্পতিবার খেলায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে বৃষ্টি।
মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা চাইছেন ম্যাচটা হোক। বেরসিক বৃষ্টি যদি হানাও দেয়, তা যেন উপকৃত হওয়ার পথ তৈরি করে সে চাওয়াও থাকল বাংলাদেশ অধিনায়কের।
ইংল্যান্ডের মাটিতে ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে নিশ্চিত হার থেকে বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল বৃষ্টি। সেই ম্যাচে অজিদের দরকার ছিল ৩৪ ওভারে ৯ উইকেটে ৯৯ রান। আশীর্বাদ হয়ে হানা দেয় বৃষ্টি! ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে এক পয়েন্ট ‘উপহার’ পায় টাইগাররা। সেটিকে পুঁজি করে পরে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশ উঠে যায় সেমিফাইনালে।
তার আগে ২০১৫ বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বের ম্যাচে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার লড়াইয়ে মাঠে গড়ায়নি একটি বলও। সেই ম্যাচে এক পয়েন্ট নিয়ে পরে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে যায় বাংলাদেশ। এবারের মুখোমুখি দেখাতেও যদি বৃষ্টি হানা দেয় তা যেন ভালোর জন্যই হয়, সেটি চাওয়া মাশরাফীর।
‘চাইছি ম্যাচটা হোক। যদি ইতিবাচক চিন্তা করি এটাই হওয়া উচিত। অবশ্যই ২০১৫ সালে আমরা যে অবস্থায় ছিলাম তখন এক পয়েন্ট আমাদের জন্য অনেক সাহায্য করেছিল। আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আমরা পরিষ্কারভাবে ম্যাচটি হেরে যাচ্ছিলাম। সেখান থেকে এক পয়েন্ট পেয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিতে খেলতে পেরেছি। এটি পুরো আসলে ভাগ্যের কথা। ১৭তম ওভারের সময় বৃষ্টি নেমেছিল। আর তিন ওভার খেলা হলে আমরা আউট অফ দ্য টুর্নামেন্ট। ভাগ্যের এই সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ।’
‘আশা করি বৃষ্টি হলে যদি এক পয়েন্টও পাই, সেটি যেন আমাদের দিকে আসে। আর খেলা হলেও যেন ভাগ্য আমাদের দিকে থাকে। যেটাই হোক, যেটি বললাম, আমাদের পক্ষে যেন আসে সবকিছু। খেললেও যেন ভালো খেলি, আর যদি খেলা না হয় দুর্ভাগ্যক্রমে, সেটাও যেন আমাদের ভালোর জন্যই হয়। অবশ্যই আমি বলবো যে, আগে আমরা ম্যাচটি খেলি আর জিতে যেন দুটি পয়েন্ট পাই, সেটি হবে আমাদের দলের জন্য একটি আলাদা রকমের পরিস্থিতি বা টুর্নামেন্টে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য আলাদা শক্তি।’