চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উড়িয়ে দিবেন না

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামািক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত সম্মিলিত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় প্রথম হওয়া শিক্ষার্থী ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটে ফেল করেছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানতে পেরেছি।

আমরা আরো জানতে পেরেছি যে, গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার দিনই প্রশ্ন ফাঁসের অভযোগ ওঠে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিলেও এখনো তা প্রকাশ করা হয়নি। পরে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের অপরাধে ছয় জনকে আটক করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় এই ইউনিটের ফল প্রকাশ স্থগিত করলেও প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের মধ্যে ফল ঘোষণা করে।

ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ‘ঘ’ ইউনিটের ২৬ দশমকি ২১ শতাংশ শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এর আগের বছর এই ইউনিটে পাশের হার ছিল ১৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এবছর ইউনিটটিতে (বিজ্ঞান শাখায় ২৪.৫৬%, মানবিকে ৪৭.৮৯%, ব্যবসায় ১৭.৯৪%) পাশ করেছে। বিগত বছরের ফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এবছর পাশের হার অন্যান্য বছরের তুলনায় প্রায় দুই থেকে আড়াই গুণ বেশি। এমনকি এবারের ফলাফলে প্রথম হওয়া শিক্ষার্থীর ‘গ’ ইউনিটের পরীক্ষায় পাশই করেননি।

ঘ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রথম হওয়া সেই শিক্ষার্থী ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পাশ করেছেন। অথচ তিনি বাণিজ্য অনুষদভুক্ত গ ইউনিটের পরীক্ষায় ইংরেজিতে ফেল করেছিলেন। ‘ঘ’ ইউনিটে তিনি বাংলায় ৩০ এর মধ্যে ৩০, ইংরেজিতে ৩০ এর মধ্যে ২৭.৩০ পেয়েছেন। অথচ গত ১৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত গ ইউনিটের পরীক্ষায় বাংলায় পেয়েছিলেন ১০.৮, ইংরেজিতে পেয়েছিলেন ২.৪০।

বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এই সংবাদ ইঙ্গিত করে যে, ঘ ইউনিটের পরীক্ষায় পাশ করা কোন কোন শিক্ষার্থী ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র পেয়ে থাকতে পারেন। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখার সুযোগ এখনো রয়েছে। করণীয় এখনও শেষ হয়ে যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি দেখবে। আমরাও আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উড়িয়ে না দিয়ে বিষয়টি শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করবেন। তদন্ত কমিটির সুপারিশগুলো প্রকাশ করবেন এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সুষ্ঠু সমাধানের পথ খুঁজে বের করবেন।