ছবি ও স্ট্যাটাস পোস্ট করে কে লাইক দিচ্ছে, কে শেয়ার করছে বা কে করছে না, এসব নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন থাকেন বয়স্করা। এছাড়া ফেসবুকের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ও গোপনীয়তার বিষয়ে বয়স্ক মানুষরাই বেশি সন্দেহপ্রবণ থাকেন বলে এক গবেষণায় পাওয়া তথ্যে জানা গেছে।
সম্প্রতি পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক এ গবেষণা করেছেন।
সামাজিক মাধ্যম মানুষের সময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ দখলে নিয়েছে। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সব বয়স ও শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক, যার ব্যবহারকারী ২২০ কোটি ছাড়িয়েছে এবং এ সংখ্যা নিয়মিত বেড়েই চলছে। এ সাইটটির গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বেগের শেষ নেই। এ সামাজিক মাধ্যমটির বয়স্ক ব্যবহারকারীরা গোপনীয়তা নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন।
সামাজিক নেটওয়ার্কিং প্লাটফর্মটি ব্যবহারে বয়স্ক মানুষরা বিভিন্ন বাধা পেয়ে থাকেন। বিষয়টি জানিয়ে পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির মিডিয়া ইফেক্টস রিসার্চ ল্যাবরেটরির অধ্যাপক এস শ্যাম সুন্দর বলেন, বয়স্ক মানুষের মধ্যে ফেসবুক ব্যবহারের সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয়টি হলো গোপনীয়তা এবং এটি প্রায়ই প্রকাশ করা হয় না। বাইরের অনেক মানুষের কাছে তাদের তথ্য চলে যেতে পারে, তারা এমন ধারণা করেন।
গবেষকরা জানান, ফেসবুক বয়স্ক ও তরুণ প্রজন্মের মধ্যে যোগাযোগ বন্ধন তৈরিতে সহায়তা করে। বয়স্কদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে তরুণরা ফেসবুক ব্যবহারে উত্সাহিত করে থাকেন। তবে বয়স্করা যেহেতু কম প্রযুক্তি সচেতন, সেজন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে এই সাইট বা অ্যাপস ব্যবহারে গোপনীয়তার বিষয়টি আরও শক্তিশালী করা দরকার।
এ গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের বয়স ছিল ৬৫-৯৫ বছরের মধ্যে। গবেষণার প্রশ্নের উত্তর পেতে বয়স্ক মানুষের ছোট এ দলটির প্রত্যেক সদস্যদের ইন-ডেপথ সাক্ষাতকারে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তির ফেসবুক ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ও যুক্ত হবার ইতিহাস সর্ম্পকে জানার চেষ্টা হয়েছে।
গবেষণা কাজে সহায়তা করা ওইসকল বয়স্করা সবাই স্ব-স্ব কর্মজীবন থেকে অবসর নিয়েছেন এবং রিটায়ারমেন্ট হোমে অবস্থান করছেন। যেসব বয়স্ক মানুষ এখন একাকী বসবাস করছেন।