গ্রিক প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস বেইলআউটের বিষয়ে রোববার অনুষ্ঠিত গণভোটে দেশবাসির প্রতি ‘ব্ল্যাকমেইল’ জাতীয় যেকোনো পরিস্থিতি বর্জন করার আহবান জানিয়েছেন।
টিভিতে একটি সংক্ষিপ্ত ভাষণে ক্ষমতাসীন সিরিজা পার্টির প্রধানমন্ত্রী ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে গ্রিসের উপস্থিতি অবসানের পথে নেই উল্লেখ করে ভোটারদের প্রতি ‘আতঙ্কপীড়িত-লেনদেনের আভাস’কে প্রত্যাখান করার আহবান জানিয়েছেন।
পুনরায় আন্তর্জাতিক ঋণের শর্তের প্রতি সমর্থন দেবে কিনা সে বিষয়ে রোববার ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত জানাবে গ্রিক জনগণ। মাসজুড়ে ঋণদাতাদের সাথে আলোচনার পর এ গণভোটের আয়োজন করা হয়।
নতুন অর্থসংস্থানে ব্যর্থতার দরুন গ্রিসের অর্থনীতি এখন টালমাটাল। দেশটির ব্যাংকগুলোকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং নগদ অর্থ প্রত্যাহারে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে।
‘না’ ভোটের জয় হলে গ্রিসকে ইউরোজোন ত্যাগ করতে হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ইইউ নেতারা। ইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট জিন-ক্লাউড জাঙ্কার বলেছেন, গ্রিকরা যদি ‘না’ ভোট দেয় তবে তাদের অবস্থান নাটকীয়ভাবে দুর্বল হয়ে যাবে। এমনকি ‘হ্যাঁ’ ভোটও কঠিন আলোচনায় ঠেলে দেবে দেশটিকে।
ভোটের সময় শেষ প্রান্তে চলে আসায় দেশটি জুড়ে ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’ ভোটের সমর্থন আদায়ের জন্য উভয়পক্ষ ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে। অভিমত বিনিময়ে জোর প্রচারণায় ইউরোপিয়ান রাজনীতিবিদেরা গ্রিক দাবি কঠোরভাবে অস্বীকার করেছে যে, ‘না’ ভোট বেইলআউট আলোচনায় দেশটির অবস্থান শক্ত করবে।
মঙ্গলবার থেকে গ্রিসের ব্যাংকগুলো পুনরায় চালু করা হবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী ইয়ানিস ভারোফ্যাকিস বলেছেন, গণভোটের পরপরই একটি চুক্তিতে পৌঁছার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে গ্রিক মন্ত্রীর ওই দাবি সম্পুর্ণ মিথ্যা বলে নাকচ করেছেন ইউরোগ্রুপের অর্থ মন্ত্রীদের প্রধান ইয়েরুন ডাইসেলব্লুম।
ডাইসেলব্লুম বলেছেন, গণভোটের ফলাফলকে বিবেচনায় না নিয়ে এথেন্স খুবই ঝুকিপূর্ণ পথ গ্রহণ করেছে।