ব্রিটিনের পার্লামেন্ট স্থগিতকে বেআইনী ঘোষণা করে আদেশ জারি করেছে স্কটল্যান্ডের সিভিল আদালত। তিন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত আদালতের অধিবেশন জানিয়েছে, সরকারকে জবাবদিহিতার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ব্রেক্সিটের আগে প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্ট স্থগিত করেছেন।
তবে ব্রিটেন সরকার জানিয়েছে, স্কটিশ আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তারা লন্ডনে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করবে।
বিবিসি জানায়, পার্লামেন্ট স্থগিত করে প্রধানমন্ত্রী কোনো আইন লঙ্ঘন করেননি বলে গত সপ্তাহেও জানায় স্কটিশ আদালত। তবে আজ তাদের সেই বক্তব্য উল্টে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে বেআইন ঘোষণা করে রায় দিয়েছে।
যদিও তাদের এই রায় পার্লমেন্ট স্থগিতের ওপর কী প্রভাব ফেলবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
এর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব হাউজ অব কমনসে দ্বিতীয়বারের মতো ব্যর্থ হয়। সেই সঙ্গে সরকারকে ২৩ জুন থেকে ব্রেক্সিট সংক্রান্ত সব তথ্য প্রকাশের জন্য প্রস্তাবও পাস করিয়ে নিয়েছেন বিরোধী এমপিরা।
এর ফলে চলতি অধিবেশনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার পুরো প্রক্রিয়া বা ব্রেক্সিট বিষয়ে কোনো সমাধান ছাড়াই পাঁচ সপ্তাহের জন্য পার্লামেন্ট স্থগিত হয়ে গেল।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী জনসনের আগাম নির্বাচনের প্রস্তাবের ওপর দীর্ঘ দেড় ঘণ্টা বিতর্কের পর ১৫ মিনিটের ভোটে নাকচ হয়ে যায় প্রস্তাবটি। অক্টোবরের ১৫ তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে এদিন ভোট পড়ে ২৯৩, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য কাঙ্ক্ষিত দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের চেয়ে অনেক কম।
প্রস্তাবের বিপক্ষে পড়েছে ৪৬ ভোট। আর বাকিরা ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিলেন।
এর আগে পার্লামেন্ট স্থগিত করা এবং চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে সরকার এ পর্যন্ত যত যোগাযোগ করেছে, সব তথ্য প্রকাশে বিরোধী এমপিরা দাবি তোলেন পার্লামেন্টে। ওই দাবি ৩১১ বনাম ৩০২ ভোটে কমনসে পাস হলেও কোনো সমাধান ছাড়াই শেষ হয় চুক্তিহীন ব্রেক্সিট বা ‘অপারেশন ইয়েলোহ্যামার’র বিষয়টি।
সরকারের আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত ৫ সপ্তাহ ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অধিবেশন স্থগিত থাকবে।