আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বেরিয়ে গেল যুক্তরাজ্য। শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১১টায় দীর্ঘ ৪৭ বছরের ইইউ সদস্যপদ ত্যাগের মাধ্যমে দেশটির ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
ব্রেক্সিট কার্যকরের আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এক ভিডিওবার্তায় একে নতুন যুগের সূচনা বলে উল্লেখ করেছেন।
দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে তিনি বলেছেন, ব্রেক্সিট কোনো ‘শেষ নয়, বরং নতুন কিছুর শুরু’। তবে যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে গেলেও দুই পক্ষের মধ্যকার এতদিনের বেশিরভাগ চুক্তিই আরও বেশ কিছুদিন বহাল থাকবে।
তিনি জানান, আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাজ্য ও ইইউ তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কের রূপরেখা নির্ধারণের পাশাপাশি সুযোগ থাকবে আগের সকল চুক্তি পর্যালোচনা ও পরিবর্তনের।
অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন তার বিবৃতিতে দেশবাসীকে অন্তর্মুখী না হয়ে সত্যিকারের আন্তর্জাতিকতাবাদী, বৈচিত্র্যময় এবং বহির্মুখী দেশে পরিণত করতে আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবিসি জানায়, ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ায় এডিনবরায় এক ভাষণে স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজেন ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্কটল্যান্ডকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন। স্কটল্যান্ডকে একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
ব্রেক্সিট কার্যকরের পরপরই ব্রাসেলসের ইইউ প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যুক্তরাজ্যের পতাকা নামিয়ে ফেলা হয়েছে।