ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসন।
বুধবার বিকেলে বাকিংহাম প্যালেসে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করে ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।
তবে বাকিংহাম প্যালেসে রাণীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে জলবায়ুু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করা একদল পরিবেশ কর্মীর বাধার মুখে পড়েন নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
বিবিসির এক ভিডিও প্রতিবেদনে দেখা যায়, দায়িত্ব নেয়ার জন্য বুধবার রাণীর সঙ্গে দেখা করতে বাকিংহাম প্যালেসে যাওয়ার পথে তাকে বহনকারী গাড়ির সামনে হঠাৎ করে দাঁড়িয়ে যান জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করা লাল পোষাকধারী কয়েকজন কর্মী।
এসময় ব্যানার নিয়ে হাতে হাত রেখে তারা বরিসের পথরোধ করেন। তবে পুলিশ এসে পথরোধকারীদের সরিয়ে দিলে বরিসের গাড়ি তাদের পাশ কাটিয়ে চলে যেতে সক্ষম হয়।
মঙ্গলবার টোরি সদস্যদের ভোটাভুটিতে ৬৬.৪ শতাংশ ভোট পেয়ে পররাষ্ট্র সচিব জেরেমি হান্টকে হারান জনসন।
এর আগে রাণীর সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগপত্র জমা দেন টেরেসা মে। দায়িত্ব নেয়ার পর আজই নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
তবে নতুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ না করার কথা জানিয়ে মঙ্গলবার পদত্যাগের ঘোষণা দেন দেশটির অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড ও শিক্ষামন্ত্রীসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা।
বিজয়ী ভাষণে আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার কাজ, অর্থাৎ ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শেষ করার অঙ্গীকার করেছেন বরিস জনসন। সেই সঙ্গে ব্রিটেনকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনকে হারানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।
বরিস জনসনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বিশ্বনেতারা।
ব্রেক্সিট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’র সঙ্গে মতপার্থক্যে গত বছর জুলাইয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন জনসন। এরপর গত ২৪ মে পদত্যাগের ঘোষণা দেন টেরেসা।