ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। শুক্রবার ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে তিনি এ ঘোষণা দেন।
মে জানান, কনজারভেটিভ পার্টির নেতার পদ থেকে আগামী ৭ জুন সরে দাঁড়াবেন তিনি।
ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র তিন বছরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিতে গিয়ে শুক্রবার কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে তিনি বলেন, তিন বছরের এই দায়িত্ব পালন তার জীবনের সবচেয়ে সম্মানীয় অংশ হয়ে থাকবে।
পদত্যাগের নাটকীয় এই ঘোষণা এলো টোরি পার্টির ব্যাকবেঞ্চ ১৯২২ কমিটির প্রধান স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডির সঙ্গে মে’র বৈঠকের পর। স্যার ব্র্যাডি ডাউনিং স্ট্রিটের বাসায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তার পদত্যাগের সময়সূচি দাবি করেন।
এরপরই এ সিদ্ধান্ত নেন মে।
মে’র প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট খসড়া প্রস্তাব দফায় দফায় নাকচ হওয়ায় এ নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে চলছে অচলাবস্থা। এর ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়তে দেরি হয়ে যাওয়ার কারণে তার সঙ্গে আবার যোগ হয়েছে ইইউ নির্বাচনে অংশ নেয়া এবং সেখানে ব্যর্থ হওয়ার চাপ। সব মিলিয়ে সরকার ও দলের অন্যান্যদের চাপের মুখে পদত্যাগের মতো পরিস্থিতি তৈরি হলো।
শুক্রবার মে’র ভাষণের পর যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক সচিব লিয়াম ফক্স এক টুইটবার্তায় বলেন, টেরেসা মে পদত্যাগ করে আত্মমর্যাদাশালী ও সম্মানজনক আচরণ করেছেন। তিনি সেটাই করেছেন যেটা তার কাছে মনে হয়েছে জাতীয় স্বার্থের জন্য ভালো হবে। এটি তার রাষ্ট্রীয় জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ানের সৌজন্যে ভাষণটি দেখুন এখানে: