ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় প্রায় দু’হাজার জনকে আসামি করে দু’টি মামলা হয়েছে। ওই ঘটনায় এপর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনা তদন্তে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন দু’টি তদন্ত কমিটি করেছে।
গত শুক্রবার উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের রসরাজ দাস (২৭) নামে এক যুবকের ফেসবুকে পোস্টে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে স্থানীয়রা তাকে পুলিশে সোপর্দ করে।
তবে রসরাজ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার ফেসবুক অাইডি নকল করে অন্য কেউ এই কাজ করেছে।
রোববার এর প্রতিবাদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত ও খাঁটি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত নামের দুটি সংগঠন সমাবেশ করে। সেই সমাবেশ চলাকালে সদরের হিন্দুপাড়াগুলোতে হামলা চালালো হয়।
সমাবেশ চলাকালে দুর্বৃত্তরা হিন্দু সম্প্রদাযের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালায় এবং ব্যাপক ভাংচুর করে। এ ঘটনার পর প্রায় একশত হিন্দু পরিবার গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে।
হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলছে অন্তত আড়াই কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবী করেছেন তারা।
অপরদিকে নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ‘সম্প্রীতি সমাবেশ’ করা হয়।