দলের বিপদে প্রথমে ব্যাট হাতে রকিবুল হাসান। পরে বল হাতে মোহাম্মদ আশরাফুল ও সোহাগ গাজীর চমক। তিন তারকার দারুণ পারফরম্যান্সে ভর করে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দাপুটে জয় পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
সোমবার প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ১৩৩ রানে হারায় মোহামেডান। সেঞ্চুরি করেন রকিবুল, আর আশরাফুল নেন তিন উইকেট।
সাভারে অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৯৬ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে মোহামেডান। জবাবে ১৫০ রানের বেশি যেতে পারেনি প্রাইম ব্যাংক।
মোহামেডানের শুরুটা মোটেও রঙিন ছিল না। স্কোরবোর্ডে এক রান জমা হতে না হতেই নিজের খাতা খোলার আগে আউট হয়ে যান ইরফান শুক্কুর। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৪৪ রান তোলার পর ফেরেন অভিষেক মিশ্র।
ভালো শুরুর পর ৩৬ রান করে আউট হয়ে যান লিটন দাসও। মোহাম্মদ আশরাফুল ৪ ও অধিনায়ক নাদিফ চৌধুরী ১১ রানে ফিরলে তিন অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই ৫ উইকেট নাই হয়ে যায় মোহামেডানের।
প্রতিকূল অবস্থায় দলের হাল ধরেন রকিবুল। সঙ্গী হিসেবে পান রজত ভাটিয়াকে। রকিবুলের সেঞ্চুরির পথে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন ভারতীয় ভাটিয়া। জুটিতে ১৪৬ রান যোগ করে আউট হন ভাটিয়া। ফেরার আগে ৬০ বলে চারটি চার ও তিন ছক্কায় করে যান মহাগুরুত্বপূর্ণ ৬৬ রান।
আর অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে রকিবুল যখন আউট হন, তার নামের পাশে তখন ১০২ রান। তার ১০৪ বলের ইনিংসটি ১১টি চার ও একটি ছক্কায় সাজানো।
শেষদিকে সোহাগ গাজীর ১৪ বলে ৩৩ রানের একটি ছোট ঝড় তিনশ’র কাছাকাছি স্কোর এনে দেয় মোহামেডানকে।
প্রাইম ব্যাংকের হয়ে আল-আমিন হোসেন, মনির হোসেন, নাঈম হাসান ও আবদুর রাজ্জাক প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন।
বড় টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালোই করেছিলেন দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় (২৬) ও নাজমুল হোসেন মিলন (১৯)। কিন্তু জুটিতে ৪৮ রান তোলার পর দুই রানের ব্যবধানে সোহাগ গাজীর জোড়া আঘাত। সেই আঘাত আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি প্রাইম ব্যাংক। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১০৪/৬ পরিণত হয় স্কোরবোর্ড।
শেষদিকে হারের ব্যবধান কমানোর মরিয়া চেষ্টা করেন নাহিদুল ইসলাম। কিন্তু ২৮ রানের বেশি করতে পারেননি তিনিও। ৩৯.১ ওভারের সময় ১৫০ রান ও প্রাইম ব্যাংকের এক উইকেট হাতে থাকতে আলো স্বল্পতায় খেলা স্থগিত হয়।
পরে বৃষ্টিতে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় খেলা। প্রায় আধাঘণ্টা অপেক্ষার শেষে খেলা আর শুরু করতে না পারায় বৃষ্টি আইনে মোহামেডানকে ১৩৩ রানে জয়ী ঘোষণা করেন আম্পায়াররা।
আশরাফুলের তিন উইকেটের সঙ্গে চার উইকেট নেন সোহাগ গাজী। সাকলাইন সজীব ও রাহাতুল ফেরদৌস নেন একটি করে উইকেট।