ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৯৭৯ সালে লর্ডসের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৯২ রানে হারিয়ে দ্বিতীয়বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়। ওই ফাইনালে অপরাজিত ১৩৮ রানের মাস্টারক্লাস ইনিংস খেলেছিলেন ভিভ রিচাডর্স। তবে ম্যাচ শেষে ভিভের কীর্তির সঙ্গে প্রায় সমানভাবে জড়িয়ে থাকে ক্যারিবীয় বোলারদের নামও। ইংলিশ বোলাররাও অবশ্য খুব খারাপ করেননি।
লর্ডসের ফাইনালে দুদলের ২০জন ব্যাটসম্যানের মধ্যে ১৪জনই আউট হন এক অঙ্কের ঘরে। এর মধ্যে ৯জন ব্যাটসম্যান আউট হন শূন্য রানে (ইংল্যান্ডের পাঁচজন ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের চারজন )। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতাপশালী বোলিং আক্রমণ ইংল্যান্ডের মিডলঅর্ডারকে ধসিয়ে দেয়। যার ফলে টানা দ্বিতীয়বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় ক্যারিবীয়রা। ডানহাতি পেসার জোয়েল গানার নেন পাঁচ উইকেট।
এত বছরে ইংল্যান্ডের সেই পেসবান্ধব উইকেট ধীরে ধীরে পরিবর্তন হয়ে ব্যাটিং সহায়ক হয়েছে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হেড কোচ ফ্লয়েড রেইফারের বিশ্বাস, এবারও বোলাররা তাদের দলকে বিশ্বকাপ জেতাবে।
আইসিসিকে দেয়া সাক্ষাতকারে ক্যারিবীয় কোচ বলেন, ‘ইংল্যান্ড কাউন্টি ক্রিকেটের পিচগুলো দেখুন, সেখানে প্রচুর বড় বড় স্কোর হচ্ছে। কিন্তু আমি এখনো মনে করি, যারা বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে ভালো করবে তারাই বিশ্বকাপ জিতবে। ব্যাটসম্যানরা রান করবে আশা করা যায়, তবে মনে হয় বোলিংই আমাদের এটা (বিশ্বকাপ) জেতাতে যাচ্ছে।’
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রেইফার বলছেন, এই সিরিজে তার বোলিং অস্ত্রাগার পরীক্ষা করে নেবেন তিনি।