গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। তাই দলকে সমর্থন জানানো জরুরী। প্রয়োজন পড়লে মাঠে ফাটিয়ে দেয়া যাবে গোটাকয়েক বোমও!
অনেকটা এমন ভাবনা মাথায় নিয়েই প্রিয় দল আয়াক্সের খেলা দেখতে ইতালির তুরিনে পাড়ি দিচ্ছিলেন ৫৪ জন ঘোরতর সমর্থক। কিন্তু তাতে বাদ সাধলো বেরসিক পুলিশ। সীমান্ত পাড়ি দেয়ার সময় তাদের দেহ তল্লাশি করে চোখ কপালে ওঠার দশা। একের পর এক বেরিয়ে আসতে লাগল ভয়ঙ্করসব অস্ত্র!
মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে জুভেন্টাসের মাঠে খেলবে ডাচ জায়ান্ট আয়াক্স। প্রথম লেগ ১-১ গোলে ড্র হওয়ায় দ্বিতীয় লেগে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলেছে। দ্বিতীয় রাউন্ডে রিয়াল মাদ্রিদকে তাদের মাঠেই হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালকে ওঠা আয়াক্সকে নিয়ে তাই সেমির স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে দলটির সমর্থকরা।
যদি ম্যাচে ঘটে উল্টোটা, তাহলে? তার ব্যবস্থা ভেবেই সঙ্গে অস্ত্র নিয়ে ইতালিতে ঢুকেছিলেন ৫৪ উগ্র আয়াক্স সমর্থকরা। কিন্তু পুলিশি তল্লাশির পর আটকে দেয়া হয় তাদের। যাদের কাছ থেকে একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে কাঁটাযুক্ত গ্লাভস, মুখবন্ধনী, বিভিন্ন পটকা-আতশবাজি এবং স্মোক বোম! পুলিশের জেরায় তারা স্বীকারও করেছেন, প্রয়োজন বুঝে এইসব অস্ত্র ব্যবহারের উদ্দেশ্য ছিল তাদের।
পরে অবশ্য উগ্র সমর্থকদের হাজতে ভরেনি ইতালিয়ান পুলিশ। ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে নেদারল্যান্ডসে। তবে এরইমধ্যে ঢুকে পড়া ২ হাজার আয়াক্স সমর্থকদের নিয়ে বাড়তি এক দুশ্চিন্তায় তুরিন পুলিশ।
ভাবনা থাকাই অবশ্য স্বাভাবিক। উচ্ছৃঙ্খলতার জন্য এমনিতেই বেশ কুখ্যাতি আছে আয়াক্স সমর্থকদের। তার উপর প্রথম লেগে পুলিশের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন এই সমর্থকরা। জোর করে মাঠে ঢোকার চেষ্টা করায় একপর্যায়ে জলকামান ব্যবহার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। মাঠের খেলায় এক কিশোর ঢুকে রোনালদোকে জড়িয়ে ধরায় নতুন করে প্রশ্ন তোলা হয়েছে আয়াক্স সমর্থকদের শৃঙ্খলা নিয়ে।