বকেয়া বেতন-ভাতা পাওয়ার জন্য গত এক সপ্তাহে মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ৬ লাখ ৫ হাজার নতুন হিসাব খুলেছেন পোশাক শ্রমিকরা। বিকাশ, রকেট ও নগদে এসব হিসাব খোলেন তারা।
রোববার বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংগঠনটির সর্বশেষ তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ৬ লাখ ৫ হাজার নতুন অ্যাকাউন্ট খুলেছে পোশাক শ্রমিকরা। এর মধ্যে গত ৪ এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত বিকাশে নতুন ৩ লাখ ৬০ হাজার নতুন হিসাব এবং রকেটে ১ লাখ ৬০ হাজার নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। আর ৬ এপ্রিল থেকে মোবাইল ব্যাংকিং নগদে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলেছেন ৮৫ হাজার শ্রমিক।
বিজিএমইএ বলেছে, গত এক সপ্তাহে ৬ লাখের বেশি হিসাব খোলা হয়েছে। যাদের এখনো হিসাব খোলা হয়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ে বাকি কারখানা শ্রমিকের ব্যাংক হিসাব বা মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব খোলার কাজ শেষ হবে।
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের বিরুপ পরিস্থিতিতে রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই অর্থ থেকে উৎপাদনের ন্যূনতম ৮০ শতাংশ পণ্য রপ্তানি করছে এমন সচল প্রতিষ্ঠানগুলো সুদবিহীন সর্বোচ্চ ২ শতাংশ হারে সার্ভিসচার্জ দিয়ে ঋণ নিতে পারবে। এ ঋণ দিয়ে শুধু শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাবে। কিন্তু কোনোভাবেই কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা দিতে এই অর্থ ব্যয় করা যাবে না।
একইসঙ্গে এ বেতন সরাসরি শ্রমিকের ব্যাংক বা মোবাইল অ্যাকাউন্টে দিতে হবে- এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এ প্রেক্ষিতে গত ৬ এপ্রিল এ ঋণ সুবিধা নিতে চায় এমন প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ২০ এপ্রিলের মধ্যে মোবাইল অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এজন্য শ্রমিক অথবা কর্মচারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদের প্রয়োজন হচ্ছে। তবে এই হিসাব খোলার জন্য কোনো ধরনের চার্জ বা ফি কাটা হচ্ছে না। সরকার ঘোষিত আর্থিক প্রণোদনা এবং বেতন-ভাতাদি মোবাইলে পৌঁছাতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। এর মাধ্যমে শ্রমিকরা ঘরে বসেই নিজ নিজ মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে বেতন-ভাতা পাবেন।
এরপর থেকে যেসব পোশাক শ্রমিকের ব্যাংক বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের হিসাব নেই তাদের বেতন-ভাতা দিতেই নতুন অ্যাকাউন্ট খুলছে প্রতিষ্ঠানগুলো।