গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দেশে প্রত্যাবর্তনের পর কি গ্রেফতার হতে পারেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন: কিছুই হবে না। উনি দেশে ফিরে আসবেন ইনশাল্লাহ। এসেই পরদিন আদালতে যাবেন। আইনগত বিষয়গুলো সমাধান করবেন। এ সরকার তাকে কিছুই করবে না।
মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বেগম খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি কোন পথে বাংলাদেশ?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মওদুদ বলেন, দেশে এতো ঘটনা, সুপ্রিমকোর্ট, রোহিঙ্গা সমস্যাসহ বিরাট এসব সংকট ঢাকার জন্য মূলত একই সঙ্গে তিনটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেই আমি মনে করি। কারণ আদালত জানেন যে, বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ। তিনি চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে গেছেন।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, খালেদা জিয়া ফিরতে দেরি হচ্ছে বলে ওনারা (সরকারি মন্ত্রী-এমপিরা) বলেছেন, যে ওনি দেশে ফিরবেন না। ষড়য্ন্ত্র করছেন। সব কিছুই তো মিথ্যা প্রমানিত হচ্ছে। কারণ তিনি তো আসছেন।
মওদুদ বলেন, ওখানে তো গেলেই ডাক্তার দেখানো যায় না, যে হুট করে চলে আসা সম্ভব হবে। এটার জন্য সময় লাগে। সে জন্য ওনার ফিরতে একটু দেরি হয়েছে। কিন্তু তিনি আসছেন।
অনেকে জিজ্ঞেস করছেন পরোয়ানা জারি হয়েছে, ওনাকে গ্রেফতার করা হবে কিনা? আমি বলি, কিছুই হবে না। ওনাকে কেন গ্রেফতার করা হবে? ওনি তো আদালতকে, আইনকে সম্মান করার জন্যই ওনার চিকিৎসার কিছু অংশ বাদ দিয়েই দেশে চলে আসছেন। শুধু আইন আদালতের প্রতি তার সম্মানবোধ আছে বলেই তিনি আসবেন।
মওদুদ আরো বলেন, কোর্ট ইচ্ছা করলে ওয়ারেন্ট ইস্যু না করেলেও পারতো। তিন বারের একজন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এতো সহজে ওয়ারেন্ট ইস্যু কখনোই স্বাভাবিকভাবে হওয়ার কথা নয়। এটি রাজনৈতিক প্রভাবেই হয়েছে। তবে তিনি আইনী বিষয়গুলো মোকাবিলা করবেন।‘তাছাড়া্ এসব ওয়ারেন্ট ইস্যু করে আমাদের বেগম জিয়াকে কোনদিন থামিয়ে রাখা যবে না। তিনি এসবে ভীত নন’।
এসময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার জিয়াউর রহমান ও বিএনপিকে নিয়ে যে প্রশংসা করেছেন তা সত্য স্বীকার বলে মন্তব্য করেন মওদুদ আহমদ। আওয়ামী লীগ সমালোচনাও সহ্য করে না। আবার কারো প্রশংসা করলেও সহ্য করে না। সিইসি সত্য কথা বলেছেন। তাই তাদের এখন মাথা ব্যথা। এখন তারা সিইসিকে নিয়ে বাজে মন্তব্য শুরু করেছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদও প্রধান বিচারপতির পদের মতো মন্তব্য করে মওদুদ বলেন, ইচ্ছা করলেই সরকার চাইলে তাকে অপসারণ করতে পারবে না। এটি সাংবিধানিক পদ। এছাড়া নির্দলীয় সহায়ক সরকা ছাড়া নির্বাচন কমিশন চাইলেও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন মওদুদ।
আমরা বলেছি নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবো। তবে নির্দলীয় সহায়ক সরকার ছাড়া তাদের পক্ষে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।