পুর্নবহাল নাকি পরিবর্তন। ব্রিটেনে বৃহস্পতিবারের ব্যালট বাক্স কেবল এ প্রশ্নের উত্তর খুজঁছে না। বরং শুক্রবারের ফলাফল পথ খুজেঁ নেবে আরো কয়েকটি জলন্ত ব্রিটিশ ইস্যুর ইপ্সিত গন্তব্যের।
এক.
মঙ্গলবার লেখাটি যখন লিখতে বসেছি, ব্রিটেনের পার্লামেন্ট নির্বাচনের তখন বাকি মাত্র এক দিন। নির্বাচন যতই ঘনিয়েছে প্রত্যাশিত আর অপ্রত্যাশিত ঘটনার ঘনঘটায় পাল্টেছে ব্রিটেনের রাজনীতির প্রেক্ষাপট। এক মাস আগের মোস্ট প্রেডিক্টেবল নির্বাচন শেষে এসে অনেকটাই আন-প্রেডিক্টেবল পরিণতি পেয়েছে।
আজ থেকে ঠিক এক মাস আগে গত ৬ই মে ব্রিটেনের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন দৈনিকে আমার একটি লেখা প্রকাশিত হয়। সে লেখাটিতে চেষ্টা করেছিলাম অন্তবর্তী এ নির্বাচনের প্রেক্ষাপট, রাজনৈতিক বাস্তবতা আর ফলাফলের আগাম ধারণা খুজঁতে।
গত ১৮ই এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে আচমকাই ৮ জুনের সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দেন। সেদিন সারাদিনই, অগ্রজ সলিসিটর বিপ্লব পোদ্দারের সঙ্গে একসাথে ছিলাম। জীবিকার তাগিদে আইনবিদ হলেও মানুষটিকে শ্রদ্ধা করি ভারত, বাংলাদেশ ও বিলেতের ত্রিকালদর্শী দার্শনিকমনা রাজনীতিক হিসেবে।
নির্বাচন ঘোষণার খবরটি অনলাইনে দেখে দাদাকে জানাতেই তিনি বলেছিলেন, ব্রিটেনে ভোটারদের বিশাল একটি অংশ মেনিফেস্টো দেখে সিদ্ধান্ত নেন, এবার ভোটটি কাকে দেবেন। এবার তাই ঘটবে।
দুই.
গত এক মাসে কনজারভেটিভ পার্টি আর লেবারের মেনিফেস্টো প্রকাশের পরই পরিস্থিতি একটু একটু করে অনুকূলে যেতে থাকে অন্তঃকোন্দলে ক্ষতিগ্রস্ত লেবার পার্টির। লেবার পার্টি ক্ষমতায় গেলে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে টিউশন ফি সরকারের তরফে দেবার ঘোষণা দেয়। এ ঘোষণায় শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক এ দুই পর্যায়ের দুটি প্রজন্মের বড় একটি ভোটার শ্রেনী দলটিকে আস্থায় নিয়েছেন। অর্থনীতির কিছুটা মন্দা দশা, জনগণের গড়পড়তা সঞ্চয়হীনতার বাস্তবতা ব্রিটেনময়।
এ কারণে সন্তানের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার কুড়ি-পচিঁশ হাজার পাউন্ডের যোগান নিয়ে উদ্বিগ্নতায় আশার পরশ বুলিয়েছে লেবারের নির্বাচনী ইশতেহার। এছাড়া এনএইচএস, পুলিশ সহ মৌলিক সেবাখাতে জনগনের সুবিধা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতির পথ ধরে দলটি জনগণের হারানো আস্থা অনেকখানিই ফিরে পেয়েছে। জনমত জরিপের ফলাফল তার জ্বলজ্বলে প্রমাণ। অথচ, নির্বাচনের ঘোষণার সময় অনেকগুন এগিয়ে ছিল ক্ষমতাসীনরা। লেবার ছিল তৃতীয়বারের মতো টানা হারের নিশ্চিত বন্দরে।
অন্যদিকে কনজারভেটিভের মেনিফেস্টোতে সোশ্যাল কেয়ার কাট, বিশেষ করে বৃদ্ধ নাগরিকদের দেখভাল খাতে অর্থ আদায়ের নামে তাদের বাড়িঘর বিক্রি করে অর্থ ফিরিয়ে নেবার প্রক্রিয়া ভোটারদের আহত করেছে। যেখানে কনজারভেটিভের রিজার্ভ ভোটব্যাংকের বড় অংশই শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ। সোশ্যাল কেয়ারের সবচেয়ে বড় প্রয়োজনীয়তা এসব বয়স্ক একাকী মানুষজনদের।
কনজারভেটিভের এবারের মেনিফেস্টোতে সোশ্যাল কেয়ার খাতে খরচের সরকারি অর্থ সেবাগ্রহীতা ব্যক্তির মৃত্যুর পর তাদের বাড়ি বিক্রির মাধ্যমে ফিরিয়ে নেবার কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে আগের চেয়ে সরকারি অংশ আরো বাড়ানোয় এখন ঘর বিক্রির অর্থের মধ্যে মাত্র কিছু অংশ পাবে সেবাগ্রহীতার উত্তরাধীকার। বলবার অপেক্ষা রাখে না, হাউজিং সংকটে জর্জরিত ব্রিটেনের মধ্যবিত্ত ভোটারদের এমন শর্তারোপ মারাত্মকভাবে উদ্বিগ্ন করেছে।
ম্যানচেস্টার এরিনা ও লন্ডনের তিনস্থানে দিনকয়েকের ব্যবধানে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনায় ভোটারদের মাঝে নিরাপত্তা আর দেশটির বিদেশে যুদ্ধ-সহায়তার পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে নতুন করে উৎকন্ঠার ঘনঘটা ব্রিটেনময়। নাগরিকরা নিজ দেশে নিরাপত্তাহীন।
এর বিপরীতে, বিরোধী শিবিরের প্রধান নেতা লেবার লিডার জেরেমি করবিনের যুদ্ধ দিয়ে সন্ত্রাস না হঠানো, সিরিয়ায় সাধারণ জনগণ হত্যায় ব্রিটেনের পররাষ্ট্রনীতির সংশ্লিষ্টতা নিয়ে তোলা মন্তব্য ভোটারদের মাঝে নতুন করে ভাবনার দুয়ার উন্মোচন করেছে। যেখানে, বার্কিংগের একটি বাড়ীর বাসিন্দারা সন্ত্রাসবাদে সম্পৃক্ত, সে তথ্য একবছর আগে একজন প্রতিবেশি জানান পুলিশকে। কিন্তু পুলিশ তখন ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানান রোববার ঐ অভিযোগকারী। শনিবার রাতে লন্ডন হামলার পর ঐ বাড়িটি থেকে বেশ কয়েকজনকে আটকও করে পুলিশ।
ব্রিটেনে গত কয়েক বছর ধরে সেবা খাতে অব্যাহত বাজেট কাটে ভুক্তভোগী হচ্ছেন বিপুল সংখ্যক নিম্ন আয়ের মানুষ। ওয়েলফেয়ার বেনিফিটে ইউনিভার্সাল ক্রেডিট চালুর পর বেকারত্ব যেমন কমাতে পেরেছে ক্ষমতাশীন সরকার, তেমনি মানুষের আর্থিক সুবিধা কমেছে বড় ব্যবধানে। ডিজেবিলিটি এলাউন্সের মত সংবেদনশীল খাতে সরকার বাজেট কমিয়ে সে অর্থ ব্যয় করছে সিরিয়ার মতো দেশে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে! অ্যাম্বুলেন্স সেবা দেশে ক্ষতিগ্রস্ত বাজেটের সল্পতায়।
সেখানে বিদেশে মোড়ল সাজতে গিয়ে অস্ত্রবাজিতে অর্থব্যয় অন্যায় হিসেবেই দেখছেন বহু ভোটার। পুলিশ পর্যাপ্ত সেবা দিতে পারছে না অর্থের সংকটে। এমন বাস্তবতায় বিদেশে শান্তি বা অশান্তি কোন যুদ্ধেই শক্তি বা সামর্থ্যের ব্যয়কে অপচয় মনে করছেন অনেক ভোটাররা।
সরকারের নিরাপত্তা ব্যার্থতা, কৃচ্ছতা সাধনের প্রক্রিয়ায় পুলিশেও বাজেট কাট, অন্যদিকে বোমায় বহু প্রাণহানি নির্বাচনের আগমুহূর্তে সব সমীকরণের উনুনে নতুন করে ঘি ঢেলেছে। মঙ্গলবারও দিনভর ভোটের ময়দান উত্তপ্ত ছিল পুলিশের সংখ্যা কমানোর ইস্যু ঘিরে।
করবিন বলছেন, যুদ্ধে বাজেট কমানোর কথা। তাঁর “একজন রাজনীতিবিদ চিন্তা করেন পরবর্তী নির্বাচনের, আর একজন নেতা চিন্তা করেন প্রজন্মের”- এ সাম্প্রতিক মন্তব্যটি নেতৃত্বের অন্তঃদ্বন্দ্ব আস্থা হারানো করবিনের দল এবং তার নেতৃত্বের প্রতি আস্থায় যোগ করেছে জনগনের বিশ্বাস আর নির্ভরতার দৃঢ় মাত্রা।
গত একমাসে দু’দফায় ব্রিটেনের চার স্থানে জঙ্গি হামলায় নিরীহ ব্রিটিশদের হত্যার মিছিল ব্রিটেনের ভোটের হিসেবে প্রভাবকের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে, সন্দেহাতীত ভাবে। কোন দলের সরাসরি সমর্থক নন, বা সিদ্বান্তহীনতায় থাকা ভোটারদের মাঝে দলগুলোর মেনিফেস্টোর পাশাপাশি জঙ্গি হামলার মতো জাতীয় বিপর্যয় ভোটের ফল উল্টে দিলে আশ্চর্য হবার কিছু থাকবে না। প্রবল জাতীয়বাদের দমকা বাতাস দেশে দেশেই ঢেউ তুলেছে।
আবার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর যুদ্ধে থেরেসা মের অনমনীয় দৃঢ়তা যে ইমিগ্র্যান্ট বিরোধী ইংলিশ ব্রিটিশদের একাত্ব করবে না, সে সম্ভাবনাও নয় কিন্তু। ক্ষত আর রক্তের দাগ না শুকাতেই সামনে আসা নির্বাচনে নিঃসন্দেহে আবেগ আর যুক্তির সম্মিলন থাকবে জন রায়ে।
প্রধানমন্ত্রীর টিভি বিতর্কে অংশ নিতে সতর্কতার বিপরীতে জেরেমির জনগণের কাছে আস্থার সংকট কাটিয়ে ওঠা পথটুকুও আগাম জরিপের ব্যবধানে স্পষ্ট। একমাস আগের জরিপগুলোয় কনজারভেটিভের জয়ের সম্ভাবনা ছিল ৫৭ শতাংশ। মঙ্গলবার সেটি দেড় শতাংশের ব্যবধানে ঠেকেছে।
এ নির্বাচনটি মূলত ছিল ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে জনগণের ম্যান্ডেট অর্জনের নির্বাচন। সে সমীকরণে ভোটারদের বৃহৎ অংশ এখনো মনে করেন, ব্রিটেনের স্বার্থে সবচেয়ে কৌশলী ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে থেরেসা মে এবং কনজারভেটিভ পার্টির বিকল্পটি সমকক্ষ নয়।
আবার ব্রেক্সিটের জয় এক অর্থে ছিল মানুষের দুর্ভোগে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। ব্রিটেনের গত সাধারণ নির্বাচনের ধারায় এবারের নির্বাচনেও শুরুতে দেশটির মূলধারার মিডিয়ার সমর্থনের আচ্ছন্নতা ঝুকেঁ ছিল কনজারভেটিভের ধারায়। ম্যানচেস্টারে হামলার পর গেল তিন সপ্তাহে সে সমর্থনও প্রচ্ছন্ন হতে শুরু করেছে।
তিন.
বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে কোন দলের এককভাবে সরকার গঠন করতে হলে ৬৫০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে জিততে হবে ৩২৬টি আসনে। গত নির্বাচনে কনজারভেটিভ ৩৩০ আর লেবার পার্টি ২২৯ টি আসনে জয়লাভ করে। ব্রিটেনের জনগণ সবসময় শক্তিশালী সরকার চায়। সদ্য অতীতের ব্যতয়ে একারণে ঝুলন্ত কোয়ালিশনের সম্ভাবনা ক্ষীণ।
এখনকার পরিবর্তিত বাস্তবতার ব্যতয়ে, যে দলই জেতে আসন সংখ্যার ব্যাবধান ২৫ টির বেশি হবে না বলে আমার ধারণা। তবে ইউকিপের মতো উগ্র ডানপন্থী দলটি এবার একটিও আসনেও না জিততে পারে। এখানে একটি তথ্য জানিয়ে রাখি শ্রদ্ধেয় পাঠকদের। ইলেকট্ররাল ক্যালকুলাস সাইটটির মাধ্যমে গত নির্বাচনসহ অন্যান্য তথ্য সমীক্ষার আলোকে আপনি নিজেই কিছুটা নিজের মতোন করে যাচাই করতে পারেন নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে নিজের ধারণা।
গত নির্বাচনে যেসব ভোট পড়েছিল ইউকিপের বাক্সে, এবার সেসব ভোটের একটি বড় অংশের গন্তব্য হতে পারে কনজারভেটিভ। অন্যদিকে লিবডেমের ভোট যাবে লেবারের বাক্সে। কিন্তু, সব হিসেবে লিবডেমের ভোট বেশি।
বর্তমান পার্লামেন্টে ৫৪টি আসন নিয়ে স্বতন্ত্র স্বদেশের দাবিদার স্কটিশ ন্যাশন্যাল পার্টি আগামীতেও ফ্যাক্টর হিসেবে থাকবে ব্রিটেনের রাজনীতিতে। এসএনপিও লেবারের প্রতি সংহতি জানিয়েছে।কদিন ধরে লন্ডনের আবহাওয়া খারাপ।বৃহস্পতিবারও বৃষ্টি আর দমকা হাওয়া যদি ইংলিশ আয়েসী ভোটারদের ঘরে আটকে রাখতে পারে, তবে শেষ হাসি সন্দেহাতীতভাবে করবিনই হাসবেন।
চার.
আমেরিকার নির্বাচনে যেমনি শুরুতে এগিয়ে ছিলেন হিলারী, তেমনি ব্রিটেনের নির্বাচনেও শুরুতে অনেখানি এগিয়ে ছিলেন থেরেসা মে। কিন্তু জঙ্গিবাদ ইস্যুর লালবাতির ক্ষত হিলারীর পরিনতিরই পথ ধরিয়েছে থেরেসাকে। অদৃশ্য নয়তো অদৃষ্টের খেলাই বোধকরি, ক্ষতি করছে- করছে এ দুই নারীর।
২০০৬ সাল থেকে হোম সেক্রেটারী হিসেবে আজকের প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন ব্রিটেনের সেফটি-সিকিউরিটির দায়িত্বে। তার মেয়াদকালে কমপক্ষে ৪০০ ব্রিটিশ জিহাদী সিরিয়া থেকে ব্রিটেনে ফিরলেও সরকার আটকেছে মাত্র একজনকে। সন্ত্রাসে শোকার্ত ব্রিটেন তাই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে টেন ডাউনিং স্ট্রিটে শক্ত কথার ফুলঝুরি নয়, চায় কার্যকর দীর্ঘমেয়াদী অর্থবহ পদক্ষেপ।
তবে রক্তাক্ত নাকি রক্তপাতহীন, কোন পথে সন্ত্রাস দমন, সে মতটি শুক্রবারই বিশ্বকে ব্যালটের অক্ষরে জানিয়ে দেবে ব্রিটেন। আর জেরেমী ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীত্ব অর্জন করলে সেটিও হবে প্রতিকূলতা আর বিদ্বেষের বিরুদ্ধে সবচেয়ে সাম্প্রতিক ইতিহাস। তবে সমীকরণের যোগফলে এখনো এগিয়ে থেরেসা।
আমাদের তিন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপির অন্তত দুজন ফের জিতে আসবেন বিলেতের পার্লামেন্টে, এটি আমার পর্যবেক্ষণ। রোশনারা বড় ব্যবধানে টানা জয় পেলেও গতবারের মত তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতাতেই জিতে আসবেন টিউলিপ সিদ্দীক। আর ইলিংগেও রুপা হকও সোমালী কমিউনিটির শতভাগ ভোট পেলে জিতে আসবেন বলে আশা। গ্রীন পার্টিও এ আসনে সমর্থন দিয়েছে তাকে।
ব্রিটেনে এখন ব্রেক্সিট বা সন্ত্রাসবাদই শুধুমাত্র সংকট নয় বলেই আমার সুস্পষ্ট ধারনা। ৮০০ বছর ধরে দেশটি লিখিত সংবিধান ছাড়া চলছে সত্যি। কিন্তু প্রতিরক্ষার মতো বিষয়ে জনগণের মতামতের প্রতিফলনের প্রত্যক্ষতার দাবি বাড়ছে। ব্রিটেনের সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় পদ্ধতিগত প্রক্রিয়া, সাইবার সিকিউরিটি, থিঙ্ক ট্যাংকগুলোর কার্যক্রম অনেক বিষয় এখানে জড়িত।
জেনোফোবিয়া, বর্ডার, নাগরিক অধিকার বা প্রতিরক্ষায় জনগণের জবাবদিহিতার প্রশ্ন বিদ্যমান। সব মাইনোরিটি কমিউনিটির দেয়াল ভেঙ্গে ওয়ান কান্ট্রি আর ওয়ান কমিউনিটির জাগরণ জরুরী। ব্রেক্সিট চুড়ান্ত বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া, তৎপরবর্তী প্রতিবেশী আর সীমান্ত সমস্যার সমাধান, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় নীতিগত পরিবর্তনের পথটি সংকীর্ণ।
পরিবর্তিত বাস্তবতায় বৃহস্পতিবারের নির্বাচনের পথ বেয়ে দীর্ঘদিন ধরে অনিস্পন্ন অনেকগুলো মনোজাগতিক ও রাজনৈতিক বিষয় সমাধানের গন্তব্যে সঠিক পথটি খুজঁলেই সংহত হবে গ্রেট ব্রিটেন। তবে, নির্বাচনের জয় পরাজয় ব্রিটেনকে জাতীয় ইস্যুতে যে বিভক্ত করতে পারে না, এটি দেশটির রাজনীতির সৌন্দর্য।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে)