বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর ১.৩০টায় ২০ লাখ ভ্যাকসিন দেশে আসবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো আব্দুল মান্নান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আগামীকাল ভারত সরকারের উপহার হিসেবে ২০ লাখ ভ্যাকসিন আসবে দেশে। সেই ভ্যাকসিন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি।
বেক্সিমকোর সূত্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী ২৫ জানুয়ারি আসবে ৫০ লাখ ভ্যাকসিন, যেসব ভ্যাকসিন মূলত সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা হয়েছে। এভাবে মোট ৭০ লাখ ভ্যাকসিন পাচ্ছি আমরা।
তারমধ্য থেকে ৬০ লাখ ভ্যাকসিন প্রথম ধাপে প্রয়োগ করা হবে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব জুয়েনা আজিজ, আইসিটি সচিব এন এম জিয়াউল আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা এবিএম খুরশীদ আলম।
২০ লাখ ডোজ করোনার ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার পরই সরকার ঢাকায় প্রথম পর্যায়ের করোনার ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু করতে সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করেছে ২৭ বা ২৮ জানুয়ারি। এদিন ২০ থেকে ২৫ জন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ নিয়ে প্রতিনিধিত্বশীল ব্যক্তিকে করোনা ভ্যাকসিন দেবে। এর পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী তাদের এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ঢাকার চারটি হাসপাতালে ৪০০-৫০০ জন স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এর জন্য ঢাকার চারটি হাসপাতাল নির্ধারণ করেছে সরকার। হাসপাতালগুলো হলো, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ এবং বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতার।
প্রথম পর্যায়ে সারাদেশে সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনার ভ্যাকসিন প্রদান কেন্দ্র হবে। তবে এখনই বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হচ্ছে না করোনা ভ্যাকসিন কেন্দ্র।