জোহানেসবার্গে টেস্ট জয়ের জন্য সাউথ আফ্রিকার সামনে ২৪০ রানের লক্ষ্য রেখেছে ভারত। ২৪৭ রানে শেষ হয় তাদের দ্বিতীয় ইনিংস। সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন অজিঙ্কা রাহানে। তিনি ছাড়া সফরকারীদের ভিত শক্ত করেন টেলেন্ডাররা। ৩৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন ভুবনেশ্বর কুমার। আর ২৮ বলে ২৭ রান করেন মোহাম্মদ সামি।
স্বাগতিকদের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা, মরকেল এবং ভারনন ফিল্যান্ডার। একটি শিকার এনগিদির।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে স্বস্তিতে নেই সাউথ আফ্রিকাও। স্কােরবাের্ডে ৫ রান উঠতেই তারা হারিয়েছে ওপেনার এইডেন মার্করামকে (৪)। পরে পিচ বিতর্ক আর বৃষ্টিতে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হয়। দিনশেষে মার্করামের উইকেট হারিয়ে ১৭ রান করেছে প্রোটিয়ারা। ৯ উইকেট আর দুইদিন হাতে থাকা স্বাগতিকদের করতে হবে আরও ২২৪ রান।
ম্যাচের নবম ওভারের সময় বুমরাহর বল এলগারের হেলমেটে লাগে। মাঠে চলে আসেন সাউথ আফ্রিকার ফিজিও। এলগারকে হাতে বরফ দিতে দেখা যায়। আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড ও আলিম দার আলোচনা শুরু করেন। সেই আলোচনায় যোগ দেন ম্যাচ রেফারিও। খেলোয়াড়রা মাঠ ছাড়েন। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য দুই দলের অধিনায়ক ও কোচদের ডাকা হয়। এমন বিপজ্জনক পিচে আদৌ ম্যাচ হওয়া সম্ভব কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও ঘোষণা দেননি ম্যাচ রেফারি। পরে বৃষ্টিতেই দিনের খেলা শেষ হয়ে যায়।
আগের দিনের ১ উইকেটে ৪৯ রান নিয়ে খেলতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। এ দিন প্রথম প্যাভিলিয়নে ফেরেন লোকেশ রাহুল। ফিল্যান্ডারের বলে প্লেসিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৬ রানে আউট হন তিনি। রান পাননি চেতেশ্বর পূজারাও। মাত্র ১ রান করেন। ২৫ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ওপেনার বিজয়।
দ্রুত ২ উইকেট হারানো দলকে পথ দেখানোর চেষ্টা করেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। কিন্তু ৪১ রান করে ফিরতে হয় তাকে।
বিরাটের উইকেট নিয়ে ভারতীয় ব্যাটিংলাইনআপকে কিছুটা বিপদে ফেলেন রাবাদা। বিরাটের পাশাপাশি ৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন হার্দিক পান্ডিয়াও। দু’উইকেট হারালেও ভারতীয় ব্যাটিংলাইনআপকে চাপে পড়তে দেননি রাহানে এবং ভুবনেশ্বর কুমার। রাহানে ৪৮ ও ভুবি ৩৩ রান করে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন।