আমন আবাদে আশানুরূপ বৃষ্টির দেখা পাচ্ছেন না রংপুরের কৃষক। অনেকে স্যালোমেশিন ও ডিপ টিউবয়েলের মাধ্যমে অতিরিক্ত সেচ দিয়ে ধান বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু এতে ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে অনেকগুণ বেশি।
এবার জেলায় ১ লাখ ৬২ হাজার ৪শ’ হেক্টর জমিতে আমানের চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও তা পূরণ হয়নি।
রংপুরের কৃষকরা জানান, এবার চাষে অতিরিক্ত পানি লাগছে। বেশ কিছুদিন থেকেই বৃষ্টির দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। এর কারণে আবার খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এলাকার অনেক জমি পড়ে আছে সেগুলোতে এখন কোনো চাষ হচ্ছে না।
এদিকে বালাইয়ের হাত থেকে রোপা আমনকে রক্ষা করতে অতিরিক্ত কীটনাশক দিতে হচ্ছে কৃষককে।
একজন কৃষক বলেন, পানি কম হওয়াতে সারের পরিমাণ অন্য সময়ের তুলনায় বেড়ে যায়। সেই সাথে তেলের খরচ তো আছেই। আবার মজুরকেও বেশি টাকা দিতে হয়।
তবে এ সংকট সাময়িক বলে জানাচ্ছে কৃষি বিভাগ।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জুলফিকার হায়দার বলেন, বৃষ্টি পরিমাণ যদি কম হয় তাহলে কৃষকের খরচের পরিমাণ বেড়ে যাবে।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এই অবস্থার উত্তরণ হবে।
প্রতিকূল পরিবেশের কারণে আমন আবাদ থেকে সরে এসেছেন অনেক কৃষক।