বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সব ধরণের রাজনীতি বন্ধসহ ভিসি’র পদত্যাগের দাবিসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছেন বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জামিলুর রেজা চৌধুরী।
বুধবার এক লিখিত বিবৃতিতে এসব দাবি জানানো হয়।
বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের দাবিসমূহ হলোঃ
এক. আবরার ফাহাদ এর নির্মম হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই এবং অনতিবিলম্বে হত্যার সাথে জড়িত সকলকে বিশেষ বিচার ট্রাইব্যুনাল এর আওতায় এনে দ্রুততম সময়ে বিচারের জোর দাবি জানাই।
দুই. এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সকল ছাত্রকে আনতিবিলম্বে বুয়েট থেকে ‘আজীবন’ এর জন্য বহিস্কার করতে হবে।
তিন. বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক দলসমূহের অঙ্গ সংগঠন ভিত্তিক ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মচারীদের সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড অবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
চার. বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ঐতিহ্য পরিপন্থী যে কোন ধরণের রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব ও প্রভাব মুক্ত রাখবার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
পাঁচ. বুয়েট অ্যালামনাই দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দীর্ঘদিনের নির্লিপ্ততা, অব্যবস্থা ও ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত ব্যর্থতার ফল। অতীতে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অপরাধ কার্যক্রম এর তদন্ত, বিচার ও শাস্তি প্রদান এর ক্ষেত্রে উপাচার্যসহ বুয়েট প্রশাসনের ধারাবাহিক অবহেলা ও ব্যর্থতা এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের মদদ জুগিয়েছে। অবিলম্বে উপাচার্যের অপসারণসহ প্রশাসনের আমূল পরিবর্তন করে এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের মান অতীতের মত সমুন্নত রাখতে সুযোগ্য, নির্ভিক ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের পদায়ন করতে হবে।
ছয়. র্যাগিং এবং অন্যান্য অজুহাতে ছাত্র-ছাত্রী নির্যাতন নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। ক্যাম্পাসে সকল ছাত্রের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সাত. আবরার হত্যাসহ ইতিপূর্বে সাংঘটিত অন্যান্য ছাত্র নির্যাতনের ঘটনাবলী ক্ষেত্রে অসম্পূর্ণ বিচার কার্য অবিলম্বে সম্পন্ন করে, উপযুক্ত শাস্তি প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
আবরার ফাহাদকে রোববার সন্ধ্যার পরে রুম থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান তার সহপাঠীরা। এরপরে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয়তলা থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আবরার ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন, ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আবরারের বাবা মো. বরকত উল্লাহ’র চকবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পরে সেটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। মামলায় গ্রেপ্তার বুয়েট ছাত্রলীগের ১০ জনের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।