চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

বুয়েটে শপথ পাঠের মাধ্যমে মাঠের আন্দোলন শেষ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে ৭ দিন ধরে চলা মাঠ পর্যায়ের আন্দোলন বুধবার শপথ পাঠের মাধ্যমে শেষ করার ঘোষণা দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের উপস্থিতিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বুয়েট অডিটোরিয়ামে অঙ্গীকারনামা পাঠ করেন বুয়েটের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফিয়া রিজওয়ানা।

অঙ্গীকারনামায় বলা হয়: “আমি প্রতিজ্ঞা করছি যে, আজ এই মুহূর্ত থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের কল্যাণ ও নিরাপত্তার নিমিত্তে আমার উপর অর্পিত ব্যক্তিগত ও সমষ্টি, নৈতিক ও মানবিক সকল প্রকার দায়িত্ব সর্বোচ্চ সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করব।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় আমার জ্ঞাতসারে হওয়া প্রত্যেক অন্যায় অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমি সর্বদা সোচ্চার থাকবো। আমি আরো প্রতিজ্ঞা করছি যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থানকে আমরা সম্মিলিতভাবে রুখে দেবো। নৈতিকতার সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সব ধরনের বৈষম্যমূলক অপসংস্কৃতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার আমরা সমূলে উৎপাটিত করব যেন আর কোনো নিষ্পাপ প্রাণ ঝরে না যায় আর কোনো নিরপরাধ যেন অত্যাচারের শিকার না হয় তা আমরা সবাই মিলে নিশ্চিত করব।”

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বুয়েট ক্যাম্পাসে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, মাঠ পর্যায়ের আন্দোলনের ইতি টানলেও আমরা অবশ্যই সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণে থাকব, আমাদের যে দাবিগুলো আছে সেগুলো বাস্তবায়ন ঠিকভাবে হচ্ছে কিনা দেখার জন্য।

বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে ৬ অক্টোবর রাতে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে অচেতন অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

এই ঘটনায় নিহতের বাবা মো. বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ করলে একটি হত্যা মামলা করা হয়। আবরার হত্যাকাণ্ডের এজাহারনামীয় ১৯ জনকেই গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। এছাড়াও পরোক্ষ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আরও চারজনকে আটক করে ডিবি।