চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বুধবার সিলেট থেকে ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু

উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ চষে বেড়াবেন নেতারা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটারদের কাছে টানতে ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি বুধবার থেকে প্রচারণা শুরু করতে যাচ্ছে। সিলেটে মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে ধানের শীষের প্রচারণা ‍শুরু করবেন নেতারা।

বুধবার দুপুরে সিলেট যাবেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন ও বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নজরুল ইসলাম খান। ওইদিন দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তারা সিলেট যাবেন বলে চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।

সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হজরত শাহপরান (রহ.) এবং মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনি ওসমানীর মাজার জিয়ারত শেষে প্রচার কাজে অংশ নেবেন তারা।

ইতোমধ্যে প্রচারণার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে ঐক্যফ্রন্ট। জেলা থেকে জেলা, বিভাগ থেকে বিভাগ, গ্রাম, মহল্লা, ঘর-বাড়ি সর্বত্র একটি করে ভোট ভিক্ষা চাইতে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা চষে বেড়াবেন পুরো দেশ।

ড. কামাল হোসেনসহ ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা কমপক্ষে ২০টি অঞ্চলে যাবেন বলে জানিয়েছেন ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী।

চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘সিলেট থেকে শুরু হবে আমাদের যাত্রা। যেতে যেতে পথসভা হবে, প্রচারণা হবে। ড. কামাল হোসেন অধিকাংশ জায়গায় সঙ্গে থাকবেন। শীর্ষ নেতৃবৃন্দ থাকবেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মানুষকে বোঝাতে চাই, সরকারের পরিবর্তন দরকার। বর্তমান সরকার যে স্বৈরাচারী মনোভাব নিয়ে মানুষের ওপর অত্যাচার অব্যাহত রেখেছে তার অবসান হওয়া দরকার।’

একটি দুর্নীতিমুক্ত, নিরাপদ, শান্তিময় ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যে আন্দোলন ঐক্যফ্রন্ট শুরু করেছে তার পক্ষে থাকার জন্য ব্যাপক প্রচারণা শুরু করবেন বলে জানান তিনি।

এদিকে নির্বাচন পরিচালনায় সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করতে বেশকিছু উপকমিটি গঠন করেছে বিএনপি। নির্বাচন কমিশন সমন্বয়, পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ, নির্বাচন পর্যবেক্ষক, মিডিয়া, অর্থ ও প্রচার ইত্যাদি কমিটি ৩০০ আসনেই কাজ করবে।

পুরো নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন উপলক্ষে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টে একাকার হয়ে গেছে ২০ দলীয় জোটের জামায়াতসহ সব দল। ২৯৭টি আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছে দলগুলো। অন্য ৩টি আসনে কর্নেল অলি আহমেদ নিজ দলীয় প্রতীক ‘ছাতা’ এবং ২টি আসনে জামায়াত স্বতন্ত্র প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে।

ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা বলছেন, নির্বাচনে তাদের প্রধান টার্গেট গ্রামের মানুষ। শহুরে ভোটারদের জন্য তারা থাকবেন ঠিকই। কিন্তু তাদের মূল টার্গেট গ্রামীন ভোটার, নারী-তরুণ, কৃষক, শ্রমিক।