বিয়ের পর অনেক বদলে গেছেন লিটন দাস। মানসিকতায় এসেছে ইতিবাচক পরিবর্তন। ব্যাটিংয়ে দেখা যাচ্ছে সেটির প্রতিফলন। ব্যাটে ঝরছে রানের ফল্গুধারা। লিটন নিজেই দাবি করেন বিয়ের পর হয়েছেন আরও পরিণত। বাংলাদেশ দলের আরেক টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার বিয়ে করেছেন কিছুদিন হল। তার গায়েও লাগতে শুরু করেছে পরিবর্তনের হাওয়া!
সোমবারই প্রথম বিয়ের পর জাতীয় দলের জার্সিতে খেলতে নামেন সৌম্য। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টুয়েন্টিতে দারুণ ব্যাটিং করে হন ম্যাচসেরা। চার-ছক্কার অসাধারণ প্রদর্শনীতে খেলেন ৩২ বলে ৬২ রানের অপরাজিত ইনিংস। তার ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশ পায় ২০০ রানের সংগ্রহ। পরে বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে টাইগাররা জয় পায় ৪৮ রানের বড় ব্যবধানে।
বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে প্রথমে নাম ওঠেনি। পরে অবশ্য নির্বাচকরা যুক্ত করেছেন সৌম্যকে। ব্যাট হাতে নামার আগেই পেয়েছিলেন সেই খবর। ২২ গজে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে সিদ্ধান্ত বদলের যৌক্তিকতার প্রমাণ দেন বাঁহাতি তারকা। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই উঠে আসে প্রসঙ্গটি।
সৌম্য জানান, চুক্তিতে থাকা বা না থাকার ব্যাপারটি তার খেলাকে প্রভাবিত করেনি। বরং বিয়ের পর প্রথম ম্যাচ বলে ব্যাটিং নিয়ে একটু বেশিই সিরিয়াস ছিলেন।
‘সত্যি বলতে ওটা (কেন্দ্রীয় চুক্তি) নিয়ে চিন্তা করিনি। একটু চিন্তায় ছিলাম যে বিয়ের পর প্রথম ম্যাচ খেলতে যাচ্ছি, তাই মনোযোগ ওই দিকে (ব্যাটিংয়ে) বেশি ছিল। ওই জিনিসটা (চুক্তি প্রসঙ্গে) তো আমার হাতে নেই, চাইলে পরিবর্তন করতে পারব না। তাই ওটা নিয়ে চিন্তা করিনি।’
বিয়ের পর অনেক খেলোয়াড়েরই মানসিকতা বদলের ব্যাপারটি প্রতিফলিতে হচ্ছে মাঠে। লিটনই তার বড় উদাহরণ। সৌম্য কী কোনো পার্থক্য টের পাচ্ছেন? লাজুক ভঙ্গিতে জানালেন, ‘কয়েকদিন হল মাত্র (বিয়ে), একটা ম্যাচ খেলছি। অবশ্যই পরিবর্তন আসবে, এটা কিছুটা বোঝা যাচ্ছে আরকি।’