সুশান্তের বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন, একথা মানতে রাজি নন পারিবারিক বন্ধু নিলোৎপাল মৃণাল। তার মতে, সুশান্ত সিং রাজপুত যদি বিষণ্ণ হতেন, তাহলে তিনি ‘ছিছোড়ে’ করতে পারতেন না। সিবিআই তদন্তে সমস্ত সত্য প্রকাশিত হবে বলে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
ব্যবসায়ী নিলোৎপাল মৃণাল সুশান্তের চাচাতো ভাই বিজেপির সংসদ সদস্য নীরাজ কুমার বাবলুর বন্ধু।
মৃণাল জানান, ‘এই হতাশাতত্ত্ব কেউ তৈরি করেছে। সুশান্তের কাছে সিনেমার প্রস্তাব আসছিল, তার কল রেকর্ডে প্রমাণ পাওয়া গেছে। করোনাকালে মানুষের ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে, চাকরি হারাচ্ছে, নানা সমস্যায় পড়ছে। এসব কারণে অনেকেই মনোবল হারিয়ে ফেলছে। এর মানে কি তারা বিষণ্ণ?’
তিনি বলেন, ‘বিষণ্ণতা আলাদা বিষয়। মানুষের পার্থক্যটা জানা উচিত। সুশান্তের বিষণ্ণতার বিষয়টি আমার কাছে বানানো গল্প মনে হয়। তিনি যদি আসলেই বিষণ্ণতায় ভুগতেন, তাহলে কখনই ছিছোড়ের মতো সিনেমা করতে পারতেন না।’
মৃণাল আরও বলেন, ‘সুশান্তের মনোবলের অভাব ছিল না। ছোট শহর থেকে এসে কঠোর পরিশ্রম করে তিনি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ১৪-১৫ বছর ধরে নিজের যায়গা ধরে রেখেছেন। সেই ছেলে এত সহজে জীবনের মায়া ছেড়ে দিবে? মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে কোন মানুষ যখন বড় পর্যায়ে যায়, তখন তাদের মনোবলের অভাব থাকে না। যত সমস্যায়ই পড়ুক, হাল ছেড়ে দেয় না তারা।’
সুশান্তের ব্যাংক ব্যালেন্স ছিল না, এই কথাও মানতে রাজি নন মৃণাল। কারণ, সুশান্তের সবই ছিল। তার সঙ্গে আসলে কী ঘটেছে, তা সিবিআই-এর তদন্তে জানা যাবে বলে বিশ্বাস করেন মৃণাল।
সুশান্ত বেঁচে থাকতে তার সঙ্গে কখনই দেখা হয়নি মৃণালের। আফসোস করে তিনি জানান, অ্যাম্বুলেন্স থেকে সৎকারে জন্য সুশান্তের দেহ কাঁধে করে নেয়ার সময়েই তার সঙ্গে প্রথম দেখা মৃণালের। মৃণালের কাছে মনে হয় সুশান্ত সবসময়েই তাকে দেখছেন এবং মৃত্যুর বিচার পাওয়ার জন্য সাহায্য চাইছেন। কইমই