ফাইজার ও বায়োএনটেকের করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের জরুরি অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(হু)। বৃহস্পতিবার এই অনুমোদন দেয় তারা। এর ফলে দেশগুলোর জন্য এই ভ্যাকসিন আমদানি করা ও বিতরণ করার পথ সহজ হলো।
এই প্রথম কোনো ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির বানানো এই ভ্যাকসিনটির গত ৮ ডিসেম্বর থেকে যুক্তরাজ্যে ভ্যাকসিন কর্মসূচি শুরু হয়। পরে শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে।
হু জানিয়েছে, এক বছর আগে চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর প্রথম ফাইজার অ্যান্ড বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিলো তারা।
ওষুধ নিশ্চিতকরণে হুয়ের কর্মকর্তা মারিয়ানগেলা সিমাও বলেন, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের বিশ্বের সহজলভ্যতা নিশ্চিতে এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, কিন্তু আমি সেই প্রয়োজনের উপর জোড় দিতে চাই যেন যথেষ্ট ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য বিশ্ব প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে। তাহলে সব জায়গায় জনগণের প্রয়োজনের ভিত্তিতে তা সরবরাহ করা যাবে।
হুয়ের মতে, জরুরি ব্যবহারের তালিকা বিভিন্ন দেশের নিয়ন্ত্রকদের ভ্যাকসিনের আমদানি ও বিতরণ অনুমোদনের পথ উন্মুক্ত করে দিবে।
ফাইজার অ্যান্ড বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনের সুরক্ষা, কার্যকারিতা ও গুণমান নিজেদের বিশেষজ্ঞ দিয়ে পরীক্ষা করিয়েছেন বলেও জানায় সংস্থাটি। সেখানে ঝুঁকির বিরুদ্ধে সুবিধার বিষয়টিও বিবেচনা করা হয়েছে।
বিবৃতিতে হু জানিয়েছে, পর্যালোচনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারণ করে দেওয়া নিরাপত্তা ও কার্যকারিতার মানদণ্ড এই ভ্যাকসিন পূরণ করেছে এবং করোনাভাইরাস মোকাবেলায় এই ভ্যাকসিনের সুবিধাগুলি ঝুঁকির থেকে বেশি।