নেদারল্যান্ডের অনেক কৃষক পরিবারের রয়েছে কয়েকশ বছরের ফুল চাষ আর বাণিজ্যের ঐতিহ্য। তারাই বিশ্বব্যাপী ফুলের বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও নিয়ন্ত্রণ করছে। এমনই একটি কোম্পানি রয়্যাল ভান জানটেন।
পৃথিবীতে প্রথম কাট ফ্লাওয়ারের চাষ শুরু হয় ষোল শতকে। গ্রিন হাউজে ওই চাষ শুরু করে ওলন্দাজ জাতিগোষ্ঠি। এই ডাচ্ জাতি আজো ধরে রেখেছে ফুল বাণিজ্যের নেতৃত্বের জায়গাটি। যে প্রতিষ্ঠানগুলো ফুলের জাত উন্নয়ন থেকে চাষ ও বাজারজাতকরণে শীর্ষে রয়েছে তাদেরই একটি এই রয়্যাল ভান জানটেন। যাদের ফুল চাষ এলাকা দেশের মাটি পেরিয়ে পৌঁছেছে সাউথ আফ্রিকা, উগান্ডা ও নিউজিল্যান্ডে। এই স্বপ্নের শুরুটা দেড়শ বছরেরও বেশি সময় আগে।
তাদের পথ চলা শুরু হয় ১৮৬২ সালে। এখন বিশ্বব্যাপী প্ল্যান্ট এবং ফুলের আন্তর্জাতিক নার্সারি হিসেবে তারা প্রসিদ্ধ। প্রগতিশীল এবং নতুন নতুন ধারণা নিয়ে কাজ করছে এ প্রতিষ্ঠানটি। নতুন ধরণের ফুলের জাত উন্নয়ন করছে তারা। একই সঙ্গে যেসব জাত আছে সেগুলো নিয়েও চলছে নানামুখি গবেষণা। তাদের ব্রিডিং প্রোগ্রাম বেশ শক্তিশালী এবং উন্নত।
রয়্যাল ভান জানটেন এর ফোকাস হলো বিশ্ব মার্কেট। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে তাদের বাজার। মূলত টিউলিপ-এর ফ্লাওয়ার বাল্ব রপ্তানি, তাদের মূল বাণিজ্য। তারা পৃথিবীর দেশে দেশে ফুল চাষও করে থাকে। তাদের বড় আবাদি এলাকা রয়েছে সাউথ আফ্রিকা এবং উগান্ডায়। ওইসব অঞ্চলে শ্রমিক খরচ কম হওয়ায়, সামগ্রিক উৎপাদন খরচের কথা চিন্তা করেই ওই দিকে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারিত করেছে।
এই প্রতিষ্ঠান বছরে লিলি বাল্ব উৎপাদন করছে ১১০ মিলিয়ন বা ১১ কোটি, টিউলিপ বাল্ব উৎপাদন করছে ৫০ মিলিয়ন বা ৫ কোটি, এছাড়া লিলিয়াম ও অন্যান্য ফুলের বাল্ব করছে ২০ মিলিয়ন বা ২ কোটি। এগুলো বিশ্ববাজারে পাঠানোর পাশাপাশি এখানে চলছে নানামুখি গবেষণা।
গ্রীষ্মে অর্থাৎ এপ্রিল মে জুনের দিকে তারা টিউলিপ ফুলের ৫ কোটি বাল্ব বিক্রি করে থাকে রয়্যাল ভান জানটেন।
বাংলাদেশের ফুলচাষ অগ্রগতি সম্পর্কে যথেষ্টই খোঁজ রাখছে এই প্রতিষ্ঠান। আগামীতে এদেশের সঙ্গেও তারা গড়ে তুলতে পারে চাষ ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ।
বিস্তারিত দেখুন নিচের ভিডিও রিপোর্টে: