দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস নানা আন্দোলন আর দাবিতে উত্তাল। যার বেশির ভাগই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদের কর্ম পরিধি ও তাদের নীতি নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষার পরিবেশ খারাপ হওয়াসহ অস্থির হতে শুরু করেছে দেশের উচ্চ শিক্ষাঙ্গন। এই অবস্থায় শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সমস্যা সমাধানে সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে।
দীপু মনি বলেন: দুই-একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সমস্যা হলেও বাকি সব বিশ্ববিদ্যালয় সঠিকভাবে চলছে। আলোচনার মাধ্যমে দ্রুততার সঙ্গে এসব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। অনেকদিন ধরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন-বিক্ষোভ চললেও দেরিতে হলেও শিক্ষা মন্ত্রীর এই বক্তব্য আশাজাগানিয়া।
শিক্ষা মন্ত্রীর বক্তব্যের দিনই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত কমিটি গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিনকে প্রত্যাহারের জন্য সুপারিশ করেছে। গোপালগঞ্জের ভিসির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি, তারা তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে ভিসির অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশও করেছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশ।
অন্যদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আন্দোলন জোরদার করেছে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ থেকে ছাত্রলীগ নেতাদের ঈদ বখশিশ দেয়া না দেয়া বিতর্কে প্রশ্নবিদ্ধ। অভিযোগ উঠেছে, পরিবারের সদস্যরা ওইসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জড়িত। বিষয়টি দিন দিন জটিল আকার ধারণ করছে বলে আমাদের মনে হয়েছে।
উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এসব সমস্যার সমাধানে সরকার কতটা আন্তরিক, তা নিয়ে জনমনে নানা শঙ্কা থাকলেও শিক্ষা মন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যকে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। কারণ এসব সমস্যার সমাধানের পথ খোঁজার দায়িত্বতো সরকারেরই।