বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার এক গবেষণায় দেখা গেছে পৃথিবীতে কৃষিকাজে পোকা দমনের জন্য অন্তত ১শ ৮০ কোটির বেশি কৃষক সিনথেটিক বা কীটনাশক ব্যবহার করেন। এর মধ্যে বছরে কমপক্ষে ৩০ লাখ মানুষ কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়। মৃত্যুবরণ করে ৩ লাখ ৫৫ হাজার মানুষ।
এছাড়া কীটনাশক পানে বছরে আত্মহত্যা করে ১ লাখ ৮৬ হাজার মানুষ।
এই অবস্থা থেকে কৃষি ও জনস্বাস্থ্যকে বাঁচাতে শুরু হয়েছে নানামুখী তৎপরতা। এরই এক অন্যতম উদাহরণ যুক্তরাজ্যের রুসেল আইপিএম। এটি পৃথিবীতে একটি উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান। যে প্রতিষ্ঠানটি সুনামের সাথে সারা বিশ্বের মানুষকে নিরাপদ ফসল উৎপাদনের জন্য আইপিএম পদ্ধতির যোগান দিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটিতে ১৫০ ধরনের পোকা নিয়ে গবেষণা চলছে। এসব পোকা দমন ও নিয়ন্ত্রণ করতে তৈরি করা ২০০ রকমের ফেরামন। জৈব পোকা দমনের এই বিশাল কর্মযজ্ঞের গবেষণার নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশের তরুণ এক বিজ্ঞানী।
একটি প্লাস্টিকের রাবার দেখিয়ে বিজ্ঞানী ডা. নাঈম হাসান বলেন, এর ভেতরে একটা আলাদা ঘ্রাণ আছে, যেটা আপনি আমি বুঝবো না কিন্তু পোকা বুঝবে।
বিশ্বের ১৪৫ টি দেশে এই জৈব পোকা দমন পদ্ধতি পৌঁছেছে। প্রযুক্তি সম্প্রসারিত হয়েছে ৩০ টি দেশে।
প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারীর আশা, একদিন কীটনাশকের পরিবর্তে জৈব পোকা দমন পদ্ধতিই বিশ্বের মানুষের কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য উপায় হবে।