রাজধানীর পুরান ঢাকার আলোচিত বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার ডেথরেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আসামিদের করা আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক প্রস্তুত হয়েছে। নিয়মানুযায়ী প্রধান বিচারপতি এখন এই মামলার ডেথরেফারেন্স ও আপিল শুনানির জন্য হাইকোর্টে একটি বেঞ্চে পাঠাবেন।
প্রধান বিচারপতির নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই হত্যা মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করা হয় বলে চ্যানেল আই অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) সাব্বির ফয়েজ।
২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর আলোচিত এই হত্যা মামলায় ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবিএম নিজামুল হক।
ওই রায়ের এক সপ্তাহের মধ্যে মামলার ডেথরেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। সেই সঙ্গে নিম্ন আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা।
মৃতুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রফিকুল ইসলাম শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জি এম রাশেদুজ্জামান শাওন, সাইফুল ইসলাম, কাইয়ুম মিঞা টিপু, রাজন তালুকদার এবং মীর মো. নূরে আলম লিমন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- এএইচএম কিবরিয়া, ইউনুস আলী, তারিক বিন জোহর তমাল, গোলাম মোস্তফা, আলাউদ্দিন, ওবায়দুর কাদের তাহসিন, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, আল-আমিন, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাভেল, মোশাররফ হোসেন ও কামরুল হাসান। এদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়।
২০১৩ সালের ৫ মার্চ বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় ছাত্রলীগের ২১ কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ১৮ দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় দর্জি দোকানী বিশ্বজিৎ দাসকে।