বিলুপ্ত ছিটমহলে শিক্ষার আলো পেতে শুরু করেছে সদ্য নাগরিক হওয়া শিশুরা। সরকারিভাবে স্কুল প্রতিষ্ঠার আগেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে প্রাথমিক স্কুল। চলছে শিশুদের স্বেচ্ছায় পাঠদান।
নাম পরিচয় লুকিয়ে পার্শ্ববতী এলাকায় এতদিন এসব শিশুকে পড়ালেখা করতে হতো। সেটি এখন ইতিহাস। এসব এলাকার শিশুরা এখন নিজ পরিচয়ে পড়ালেখার সুযোগ পেয়েছে।
কেউ দান করেছেন স্কুলের জন্য জমি, কেউ কাঠ-বাঁশ আর কেউ টিন। এলাকার মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে স্কুল।
আগের দিন এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে সকাল থেকে স্কুলে শিশুদের পাঠদান করা হবে। সকালেই ২ থেকে শুরু করে ৭ বছর- সব বয়সী শিশুদের অভিভাবকরা শিশুদের নিয়ে আসেন স্কুলে।
এলাকার শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা স্বোচ্ছাশ্রমে পাঠদান করাচ্ছেন এসব শিশুদের। ৬৮ বছর শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত ছিলো এ এলাকার শিশুরা। আর কোনো শিশুকে যাতে আর একটি দিনও শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হতে হয়, সে জন্যই এলাকাটি বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সাথে সাথেই এ স্কুল।
স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা স্কুল প্রতিষ্ঠা করলাম। আমরা ব্যক্তিগত খরচে এই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছি। সরকারসহ সকলের কাছে সহযোগিতা চাই। পুরাতন বই দিয়ে আমরা পাঠক্রম চালাচ্ছি।
বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোতে সরকারিভাবে দ্রুত স্কুল প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন দেশের নতুন নাগরিকরা।