বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ট্রেতে গণ শৌচাগারের থেকেও বেশি পরিমাণ শ্বাসতন্ত্রের জীবানু বহন করে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গকেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানায়, ২০১৬ সালে ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি-ভানতা বিমানবন্দরে তিন দফায় বিভিন্ন বস্তুর উপরিতলের ৯০টি ও বাতাসের ৪টি নমুনা সংগ্রহ করে এই গবেষণা চলানো হয়।
এরমধ্যে যাত্রীদের চলাচলের স্থান থেকে শুরু করে চলন্ত সিড়ির হাতল, লিফ্টের বাটন ও শিশুদের খেলনা সামগ্রীর নমুনাও সংগ্রহ করা হয়।
এসব নমুনা পরীক্ষা করে দেখা যায়, নিরাপত্তা ট্রে সবচেয়ে বেশি বিষাক্ত দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে। পরীক্ষিত ৮টি উপাদানের মধ্যে ৪টিতেই জীবানুর ঝুঁকি ইতিবাচক পাওয়া যায়। নিরাপত্তা ট্রেতে শ্বাসতন্ত্রের জীবানুসহ ‘‘ইনফ্লুয়েঞ্জা এ’’, ‘‘রিহিনো অ্যান্ড হিউম্যান করোনা ওসি৪৩’’ সনাক্ত করা হয়।
এসব তুলনা করার জন্য বিমানবন্দরের গণ শৌচাগারের তিনটি ভিন্ন স্থান থেকে ৪২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষার পর শৌচাগারের ঢাকনা, ফ্ল্যাস ও দরজার লকসহ কোথাও শ্বাসতন্ত্রের জীবানু পাওয়া যায়না।
গবেষণায় বলা হয়, যেহেতু বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ট্রে সবযাত্রীই ব্যবহার করে, কোন না কোনভাবে প্রতেকেই সমস্যায় ভোগার ঝুঁকিতে থাকে এবং তা আন্তর্জাতিকভাবে ছড়িয়ে পড়ারও ঝুঁকি থাকে।
সব মিলিয়ে নমুনাগুলোর ৯টির মধ্যে কমপক্ষে একটিতে শ্বাসতন্ত্রের জীবানু পাওয়া গেছে। অর্থাৎ সর্বমোট ১০ শতাংশ। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা এলাকায় রোগজীবানু বিস্তার রোধে বেশকিছু সুপারিশও তুলে ধরা হয়েছে এই গবেষণায়।