চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বিপদে পাশে দাঁড়ানোয় বাংলাদেশের প্রশংসা

বিধ্বস্ত নেপালের উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নেয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা। বাংলাদেশ বিভিন্ন স্পটে বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ভূমিকম্পে আহতদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে ।

রাজধানী কাঠমান্ডুর পাশের জেলা ললিতপুরের আদর্শ স্কুল এ্যান্ড কলেজ মাঠে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে বাংলাদেশী চিকিৎসকরা। আশেপাশের বিভিন্ন এলাকার আহতদের এখান থেকেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেনা কর্মকর্তারা বলছেন, আহতদের চাপে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

বাংলাদেশ মেডিকেল টিমের প্রধান কর্নেল ইউনুসুর রহমান বলেন, ভ্যালিতে অসংখ্য বাড়ি-ঘর ধসে পড়েছে। সেখানকার রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম আমরাই প্রথম শুরু করেছি।

মেডিকেল টিমের চিকিৎসক লে. কর্নেল জামিল বলেন, আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করেছি বলেছি আমরা আপনাদের পাশে আছি। আপনাদের কোন ভয় নেই।

বাংলাদেশ মেডিকেল এমন সেবা পেয়ে কৃতজ্ঞ স্থানীয়রা। তাদের কেউ কেউ বলেন, তারা অন্যদেশ থেকে এসে আমাদের বিনা পয়সায় চিকিৎসা করছে। আমরা সত্যিই তাদের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ।

তারা আরো বলেন, বাংলাদেশী চিকিৎসকদের এই চিকিৎসা সেবা অনেক অন্ধকারের মধ্যে কিছুটা আশারআলো।

বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলাদেশী চিকিৎসকরাও কাজ করছেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিকিৎসক ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে একাধিক চিকিৎসক ও স্বেচ্ছাসেবক নিজ উদ্যোগে নেপালে এসেছেন দুস্থদের পাশে দাঁড়াতে।

ভূমিকম্পের পরপরই সহায়তা দিতে বাংলাদেশের ৩৪ সদস্যের একটি দল নেপাল যায়। ত্রাণসামগ্রী, ওষুধ, শুকনো খাবার ছাড়াও ৬টি চিকিৎসকদলও পাঠানো হয় সেখানে।

এরইমধ্যে নেপালের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আহত হয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ। দেশটির প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা রোববার আঘাত হানা ৭.৮ মাত্রার তীব্র এই ভূমিকম্পে আক্রান্ত মানুষদের স্মরণে তিনদিনের শোক ঘোষণা করেছেন।

নেপালের ৮১ বছরের ইতিহাসে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে দেশটি এখন লন্ডভন্ড। পুরো কাঠমান্ডু পরিণত হয়েছে ধ্বংস স্তূপে। মাটির সঙ্গে মিশে গেছে অনেক ভবন। আর যেগুলো দাঁড়িয়ে আছে তাতেও ধরেছে বড় ধরনের ফাটল। ভয় আর আতঙ্কে বেশিরভাগ মানুষ এখনো খোলা আকাশের নিচে।