চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বিনা পারিশ্রমিকেই খেলবে জিম্বাবুয়ের খেলোয়াড়রা

বোর্ড পরিচালনা ও প্রশাসনে সরকারের হস্তক্ষেপ না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে না পারায় জিম্বাবুয়ের সদস্য পদ স্থগিত করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

যে কারণে, জিম্বাবুয়েকে এখন থেকে আর কোনো তহবিল যেমন দেবে না আইসিসি, তেমনি নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির কোনো ইভেন্টেও অংশ নিতে পারবে না দেশটির ক্রিকেট দল। এই অবস্থায় দেশের ক্রিকেট বাঁচাতে বিনা পারিশ্রমিকেই খেলতে রাজি জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটাররা।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

জিম্বাবুয়ে দলের একজন সিনিয়র ক্রিকেটার ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে বলেছেন, ‘আমরা বিনা পারিশ্রমিকেই খেলব। যতক্ষণ না আমরা টানেলের শেষে আলো দেখতে পাচ্ছি। আমাদের পরবর্তী কাজটি বাছাইপর্বের। আমরা বিনামূল্যেই খেলব।’

জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটারদের মূল ফোকাসে এখন পুরুষ ও মহিলা টি-টুয়েন্টি বাছাই টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া, যদিও আইসিসি থেকে তাদের বরখাস্তের শর্তে এই ইভেন্টগুলোতে অংশ নিতে বাধা দেয়া হয়েছিল। জাতীয় মহিলা দলের চার সদস্যকেও গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট স্কোয়াড থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। তবে তাদের বাদ দেয়া পুরো ক্রিকেটে প্রসারিত হয়নি।

স্থগিতাদেশের মধ্যে এখনো টেকনিক্যালি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে সক্ষম জিম্বাবুয়ে। ক্রিকইনফোর নিশ্চিত হয়েছে যে, জিম্বাবুয়ের দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আয়োজন করলে এখনো আইসিসি ম্যাচ অফিসিয়াল নিয়োগ করবে। তবে খেলোয়াড়দের বিনা পারিশ্রমিকে খেলতে হবে। কারণ এতে আইসিসি কোনো অর্থায়ন করবে না।

সেদেশে ক্রিকেট পরিচালনার জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন করা ক্রীড়া ও বিনোদন কমিশন বলছে, সাময়িক বরখাস্ত থাকাকালীন খেলোয়াড় কল্যাণ নিয়ে কাজ করার জন্য জিম্বাবুয়ের একটি অবিচ্ছিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে, তবে এই পরিকল্পনার বিশদ আপাতভাবে প্রকাশ করা হয়নি।

দুটি সিনিয়র জাতীয় স্কোয়াডের কাউকেই (নারী-পুরুষ) গত দু’মাসে অর্থ প্রদান করা হয়নি এবং তাদের সাম্প্রতিক নেদারল্যান্ডস এবং আয়ারল্যান্ড সফরকালে তাদের ম্যাচ ফিও দেয়া হয়নি।

আগস্টে মহিলাদের টি-টুয়েন্টি বা অক্টোবরে পুরুষদের বাছাইপর্বে জিম্বাবুয়ে যে অংশ নিতে সক্ষম হবে এমন সম্ভাবনা ক্রমশই কম দেখা যাচ্ছে। সেপ্টেম্বরে ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য বাংলাদেশে যাওয়ার আগে আগস্টে আফগানিস্তান দলের জিম্বাবুয়ে সফর করার কথা রয়েছে।

আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামে দেখা যাচ্ছে, জিম্বাবুয়ে পরের বছরের জানুয়ারিতে তিনটি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলতে ভারতে যাওয়ার আগে অক্টোবর ও নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টেস্ট এবং পাঁচটি ওয়ানডে খেলার জন্য নিজ দেশে স্বাগত জানাবে। মার্চে বাংলাদেশ সফর হওয়ার আগে এবং এপ্রিলে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একটি টেস্ট ম্যাচ খেলার আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের দুটি টেস্ট নির্ধারিত আছে।

যদিও এই ফিক্সচারগুলো পুরোপুরি বাতিল করা হয়নি, তবে বাস্তবে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের সাসপেনশন চলাকালীন দেশে সিরিজ আয়োজন করার কোনো সম্ভাবনাও নেই, এমনকি খেলোয়াড়দের বেতন না দেয়া হলেও। কারণ, যেকোনো ট্যুর বা সিরিজ আয়োজন করতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড সম্পূর্ণরূপে আইসিসির তহবিলের উপর নির্ভরশীল।

সব ঠিক করতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডকে তিন মাসের সময় দিয়েছে আইসিসি। এরমধ্যে বোর্ডের দায়িত্বে নির্বাচিতদের আনতে হবে। তাহলে আগামী অক্টোবরের বোর্ড মিটিংয়ে সদস্য পদের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আলোচনা করবে সংস্থাটি।