করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ঈদুল আযহা উদযাপনের জন্য লকডাউন এক সপ্তাহের জন্য তুলে দেওয়া হলেও শুক্রবার থেকে আবারও শুরু হচ্ছে ‘কঠোর বিধিনিষেধ’। শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে এ বিধিনিষেধ চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে এ লকডাউন চলবে।
ঈদের পরপরই এমন লকডাউনে ভোগান্তি কিছুটা বাড়লেও আসলে এছাড়া কিছুই করার নেই। বিগত কয়েকদিনে সংক্রমণ ও মৃত্যুর রেকর্ড আমরা লক্ষ্য করেছি। এ অবস্থা চলতে থাকলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে না বলেই আমাদের শঙ্কা।
চ্যানেল আই অনলাইনের প্রতিবেদনে জানা যায়, ‘জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী পোশাক শিল্প কারখানা খোলা সম্পর্কে বলেছেন, যদি অবস্থার পরিবর্তন হয়, অবস্থা যদি ভাল হয় সেটি পরবর্তীতে চিন্তাভাবনা করা যেতে পারে। তবে এ মাসের ভেতরে নয়। সেটা অবস্থা বুঝে, পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত হবে।
এবার যেহেতু অফিস-গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্প সবকিছু বন্ধ থাকবে। সুতরাং এ পর্যন্ত যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তাতে সর্বাত্মক লকডাউন কঠোর বিধিনিষেধ হতে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আগের মতোই মানুষের প্রয়োজন হবে না বাইরে আসার। যেহেতু অফিস বা গার্মেন্টসে যেতে হবে না সেজন্য অপেক্ষাকৃত আগের চাইতে অনেক কঠোর হবে এবং এটি বাস্তবায়নের জন্য পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি এবং সেনা সদস্য থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘যারা বাড়ি গিয়েছে তারা কিন্তু জানে অফিস-আদালত বন্ধ থাকবে। গার্মেন্টস বন্ধ থাকবে সুতরাং তারা সময় নিয়েই গেছেন এবং তারা যেন ৫ তারিখের পরেই আসে। সংক্রমণ কমানোর জন্য অবশ্যই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে, ঘরে থাকতে হবে, অপ্রয়োজনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে আসবে না এবং বাইরে যদি আসতেই হয় অবশ্যই ডাবল মাস্ক পরবে। এটা যদি করতে পারি ১৪ দিনের জন্য তাহলে সংক্রমণটা একেবারে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসতে পারবো, তা না হলে এটা আরও বাড়তে থাকবে এবং হাসপাতালের রোগীদের যে চাপ সেটা ম্যানেজ করা কঠিন হয়ে যাবে। সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। আগামী ১৪ দিন অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর এ কথা যৌক্তিক। আমরাও মনে করি, সংক্রমণ কমানোর জন্য আগামী ১৪ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসময়ে কিছুটা কষ্ট হলেও বিধিনিষেধ মেনে চলতে পারলে তা দেশের জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে। একইসঙ্গে লকডাউন চলাকালে কেউ যেন খাদ্যসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয় সেটাও সরকারের সংশ্লিষ্টদের নজরে রাখতে হবে। এজন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।