বিদেশে থেকে সিকদার গ্রুপের দুই ভাইয়ের আগাম জামিন আবেদনকে ‘নজিরবিহীন’ উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলেছেন, দেশের বাইরে থেকে আইনজীবী হিসেবে মামলা পরিচালনাও বেআইনি এবং নীতিনৈতিকতা–বহির্ভূত।
সিকদার গ্রুপের এমডি রন হক সিকদার ও তাঁর ভাই দিপু হক সিকদারের জামিন আবেদন খারিজ করে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ আদেশে একথা বলা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আদেশে বলা হয়েছে, ‘এমন নজিরবিহীন আগাম জামিনের দরখাস্ত পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম। আর আইন ও বিধি মোতাবেক বিদেশ থেকে আগাম জামিনের দরখাস্ত করার কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের বেআইনি এবং নীতিনৈতিকতা–বহির্ভূত দরখাস্ত পরিত্যাজ্য। এ ছাড়া আইন, বিধি ও প্র্যাকটিস ডিরেকশন মোতাবেক বাংলাদেশের সীমানার বাইরে থেকে আদালতে অ্যাডভোকেট (আইনজীবী) হিসেবে বক্তব্য এবং যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশের সীমানার বাইরে থেকে এডভোকেট হিসেবে মামলা পরিচালনাও বেআইনি এবং নীতিনৈতিকতা–বহির্ভূত।’
এর আগে এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ দুজনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় ব্যাংকক থেকে সিকদার গ্রুপের দুই ভাইয়ের করা আগাম জামিন আবেদন গত ২০ জুলাই সরাসরি খারিজ করে দেন বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ। এছাড়া বিদেশে থেকে আগাম জামিন চেয়ে আদালতের মুল্যবান সময় নষ্ট করায় জরিমানা হিসেবে ১০ হাজার পিপিই প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দিতে সিকদার গ্রুপের দুই ভাইয়ের প্রতি নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ওইদিন দুই ভাইয়ের জামিন আবেদনের পক্ষে সিঙ্গাপুর থেকে ভার্চুয়াল শুনানি করেন আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি। আর রাষ্ট্রপক্ষে ভার্চুয়াল শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমদ।
এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) দুজনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গত ১৯ মে এক্সিম ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গুলশান থানায় রন হক সিকদার ও তার ভাই দিপু হক সিকদারের বিরুদ্ধে মামলা করে। সে মামলার ঘটনার পর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দুই ভাই ব্যাংকক চলে যান বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।