রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধনে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাংলাদেশ সফরের ইঙ্গিত দিয়েছেন ঢাকায় রাশিয়ার বিদায়ী রাষ্ট্রদূত।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ দমন নয় বরং বাংলাদেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ ‘জ্বালানি সংকট’ মোকাবেলা। তবে যে কোনও সম্ভাবনা ও সংকটে বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন তিনি।
কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ‘ডিক্যাব’-এর নিয়মিত আয়োজন ‘ডিক্যাব টক’-এর অতিথি হিসেবে রোববার রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার এ. নিকোলায়েভ কথা বললেন দু’দেশের সম্পর্ক নিয়ে।
মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঢাকা ছাড়ার আগে ডিক্যাবের আয়োজনে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক সম্পর্ক ছাড়াও রাষ্ট্রদূত কথা বলেন সামাজিক-সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও জ্বালানি সম্পর্ক নিয়ে। বললেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সনেরও আপত্তি নেই।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা কোন দেশের ওপর নিজেদের দর্শন কিংবা ধর্মীয় চেতনা চাপিয়ে দেই না। কোন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাকও গলাই না। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তেমনটা হবে না। তবে এটা ঠিক আমরা বাংলাদেশের পাশে ছিলাম এবং আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি, বাংলাদেশে যে সরকারই থাকুক ভবিষ্যতেও আমরা সঙ্গে থাকবো।
ক’জন বিদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনায় কয়েকটি দেশ বাংলাদেশকে চাপের মুখে রেখেছিলো উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, রাশিয়া যে কোনো পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
তিনি আরও বলেন,বাংলাদেশ আরো অস্ত্র নিতে চায়, এমন আলোচনা চলছে। তবে কোন আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব আসেনি। আসলে বিবেচনা করবো। বাংলাদেশের জ্বালানি সংকটে পাশে আছি আমরা। রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে। এটি নিয়ে আমি বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গেও কথা বলেছি।
তিনি জানিয়েছেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে তাদের আপত্তি নেই।
বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বণিজ্য সম্পর্ক বাড়ছে উল্লেখ করে আলেকজান্ডার এ. নিকোলায়েভ বলেন, তৈরি পোশাকের পাশাপাশি চিংড়ি ও পাটজাত পণ্য্যসহ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে একমত হয়েছে দু’দেশ।