যদি হতেই হয়, সেটা হবে দর্শকহীনভাবে- ত্রয়োদশ আইপিএলের ব্যাপারে যেকোনো সময় আসতে পারে এমন সিদ্ধান্ত। করোনা ভাইরাস আতঙ্কে বিষয়টি মেনে নিতে আপত্তি না থাকলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের অনুরোধ, ভিনদেশি খেলোয়াড়দের ব্যাপারে নেয়া সিদ্ধান্তটা যেন নতুন করে ভাবা হয়।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার এক বিবৃতিতে জানায়, ১৩ মার্চ রাত ১২টা থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত কূটনৈতিক অঙ্গনের মতো বিশেষ কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ছাড়া কাউকে দেশটি ভ্রমণের অনুমতি দেয়া হবে না। বিজনেস ক্যাটাগরিতে আইপিএল খেলতে আসা বিদেশি ক্রিকেটারদের তাতে অন্তত মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে আসা বন্ধই হয়ে গেছে।
এমনকি ২০২০ আইপিএলের পুরো আসরেই বিদেশি খেলোয়াড়দের পাওয়া নিয়ে শঙ্কা থাকছে। ভারত সরকার যদি মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত ভিসা না দেয়ার সিদ্ধান্ত আরও বর্ধিত করে, তাহলে এবার আইপিএলে দেখা যাবে না ওয়ার্নার, রুট, ডি ভিলিয়ার্সদের।
একে তো দর্শক থাকবে না, সঙ্গে যদি যোগ হয় নামীদামী বিদেশি তারকাদের অনুপস্থিতি, তাহলে টিভি দর্শকরাও আগ্রহ হারিয়ে বসতে পারে আইপিএল দেখার। সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এক ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তা বলেছেন, ‘কিছু কিছু বিষয় নিশ্চিত করতে পারলে টিকিট বিক্রির টাকা নিয়ে মাথাব্যথা থাকবে না। দর্শকদের জন্য বিষয়টা হতাশার। কিন্তু আমাদের কিছু করারও নেই। সংক্রমণ ঠেকাতে প্রশাসন যতটা সম্ভব করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে মহামারী হিসেবে ঘোষণা করেছে।’
‘আমরা নিশ্চিত না এবার আইপিএল হবে কিনা। হলেও সেটা বদ্ধদুয়ার ভাবে। হয় দর্শকরা টিভিতে বসে দেখবে, নইলে ২০২০ সালে কোনো আইপিএলই হবে না। আমরা বিষয়টি মেনে নিচ্ছি। কিন্তু বিসিসিআইকে অবশ্যই এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বসতে হবে। এপ্রিলের ১৫ তারিখের আগে বিদেশিদের আসার ব্যাপারে একটা বিকল্প বের করতে হবে।’
‘বিদেশিদের যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে, তা নিয়ে হেলামি করা যাবে না। আবার সম্প্রচারকারীরাও জানিয়ে দিয়েছে এভাবে চালিয়ে যেতে আগ্রহী না তারা। সুতরাং, সবার স্বার্থ বুঝেই দর্শকহীন টুর্নামেন্ট ভালো সিদ্ধান্ত তবে। একই সাথে এটাও নিশ্চিত করতে হবে যে, আমরা বড় বড় নামগুলো দিয়ে খেলাধুলার সরঞ্জামগুলো যেন বিক্রি করতে পারি।’
এদিকে যেখানে দর্শকদের মাঠে গিয়ে খেলা দেখা নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে আইপিএলে, সেখান ভারত-সাউথ আফ্রিকার প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ দেখার জন্য লাইন দিয়েছে সেই দর্শকরাই। এই জনসমাগম এড়াতে খেলাধুলার সবরকম আন্তর্জাতিক ম্যাচে দর্শক নিষিদ্ধ করেছে ভারত সরকার। এরপর থেকে সিরিজের বাকি ম্যাচগুলোতে সমর্থকদের না যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে এবং ভিড় এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।