চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বিদায়বেলায় কুকের বিরল কীর্তি

দীর্ঘ এক যুগের টেস্ট ক্যারিয়ার থামবে একদিন পরই। বিদায়বেলায় দারুণ এক কীর্তি গড়লেন অ্যালিস্টার কুক। অভিষেক আর ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে সেঞ্চুরির বিরল অর্জন এখন তার নামের পাশে। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসেই যে কীর্তি আছে কেবল আর চারজনের।

কুকের টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ২০০৬ সালে, নাগপুরে ভারতের বিপক্ষে। বাঁহাতি উদ্বোধনীর অভিষেক সেঞ্চুরিতে ম্যাচ ড্র করে ফিরেছিল ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ৬০ রানে ফেরার পর দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ১০৪, আগমনী বার্তা সেদিনই জানান দেন কুক।

২০১৮তে এসে যখন ৩৩ বছর বয়সে বিদায় বললেন, দীর্ঘ পথ চলায় টেস্ট ক্যারিয়ারে যুক্ত করেছেন ১৬১টি ম্যাচ। যার শেষ টেস্টের দুই ইনিংসেও অভিষেকের মতই কীর্তি। ওভালে প্রথম ইনিংসে সম্ভাবনা জাগিয়ে ৭১ রানে ফেরার পর দ্বিতীয় ইনিংসে লাঞ্চ বিরতির আগেই সেঞ্চুরির তুলে নিয়েছেন। ১০৩ রানে অপরাজিত থেকে মধ্যাহ্নবিরতিতে গেছেন কুক।

এটি কুকের ৩৩তম টেস্ট সেঞ্চুরি। ফিফটি আছে ৫৭টি। কিংবদন্তি হয়ে ওঠা কুক ১২ হাজার টেস্ট রান পেরিয়ে গেছেন। সর্বকালের সেরা টেস্ট রান সংগ্রাহকের পাঁচ নম্বরে থেকে থামছেন। সর্বোচ্চ ইনিংসটি ২৯৪ রানের। পথে আরও অনেক রেকর্ড যুক্ত করেছেন কুক-নামের পাতাটিতে। যার মধ্যে অন্যতম হয়ে থাকবে অভিষেক ও শেষ টেস্টে সেঞ্চুরি ছোঁয়ার কীর্তিটি।

কুকের আগে চারজনের আছে অভিষেক ও বিদায়ী টেস্টে শতক ছোঁয়ার অর্জন। শুরুটা করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার রেগ ডাফ। সেই ১৯০৫ সালে বিদায়ী টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই ১৪৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন, আর অভিষেকে নামের পাশে ছিল ১০৪ রান, ইংলিশদের বিপক্ষেই।

দ্বিতীয় কীর্তিটি বিল পন্সফোর্ডের, অস্ট্রেলীয় সাবেক অভিষেকে ১১০ আর বিদায়বেলায় ২৬৬ রানের ইনিংস খেলে নিজেকে আরেকধাপ উচ্চতায় তুলে নেন। ১৯৩৪ সালে তার বিদায়ী টেস্ট ছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, অভিষেকও ছিল ইংলিশদের বিপক্ষেই।

পরের কীর্তিও আরেক অজি তারকার। নামটি গ্রেগ চ্যাপেল। অভিষেকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০৮ রানের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯৮৪ সালে শেষ টেস্টে ১৮২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।

এলিট তালিকায় চতুর্থ ব্যক্তিটি ভারতের মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেকে ১১০ রানের ইনিংস খেলার পর ২০০০ সালে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজের শেষ টেস্টে ১০২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ম্যাচ ফিক্সিং বিতর্কে ওই টেস্টের পর ভারত দলে ব্রাত্য হয়ে পড়া সাবেক অধিনায়ক।