সৌদি আরবে ‘জেদ্দা ওয়ার্ল্ড ফেস্ট’-এ অংশ নেয়ার কথা ছিলো আমেরিকার হিপহপ ঘরানার অন্যতম পপস্টার নিকি মিনাজ। তার আগমনকে ঘিরে সৌদিতে তৈরী হওয়া বিতর্কের মাঝে এবার শোনা গেল, সৌদিতে অনুষ্ঠিতব্য কনসার্টে আসছেন না নিকি মিনাজ।
সৌদিতে নিকি মিনাজের আসার খবরে বহুজন প্রশ্ন তুলছেন যে, নিকি মিনাজের পোশাক এবং খোলামেলা গানের বক্তব্য রক্ষণশীল আরবের সঙ্গে মানানসই নয়। তার উপর নিকি মিনাজের কনসার্ট টি দেখতে সৌদি নারীদের পর্দা করে আসার বাধ্যবাধকতা চাপিয়ে দেন আয়োজকরা। এই নিয়েও ক্ষুব্ধ ও সোচ্চার হয়ে উঠেন সৌদি নারীরা।
তারা প্রশ্ন তুলেন, নিকি মিনাজের মতো একজন খোলামেলা শিল্পীর পারফর্ম দেখতে কেনো পর্দা করে আসা লাগবে! আয়োজকদের এমন দ্বৈত নীতি নিয়ে এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বেশ কয়েকজন নারী সোশাল মিডিয়াতে ভিডিও বার্তাও দেন। এছাড়া অনেকেই মুসলিম প্রধান একটি দেশে নিকি মিনাজের মতো শিল্পীর কনসার্ট আয়োজনকে ভালোভাবে নেননি, শুধু তাই নয় এখন হজের মৌসুমে নিকি মিনাজের মতো শিল্পীকে ডেকে নিয়ে আসায় আয়োজকদের প্রতিও নাখোশ হন দেশটির সাধারণ মানুষ!
আর এসব দিক বিবেচনা করেই সৌদি কনসার্টে আসতে অস্বীকৃতি জানালেন নিকি মিনাজ। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে নিকি সাফ জানিয়ে দিলেন যে, ১৮ জুলাই জেদ্দায় অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্ল্ড ফেস্টে তিনি অংশ নিচ্ছেন না।
মূলত এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণ হিসেবে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন। কেননা এই সংগঠনের তরফ থেকে গেল শুক্রবার নিকি মিনাজের কাছে একটি খোলা চিঠি দেয়া হয়। সেখানে নিকি মিনাজকে ওই কনসার্টে অংশ না নেওয়ার অনুরোধ করা হয়।
চিঠিতে নিকি মিনাজের কাছে আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, সৌদি আরবের বিপুল অর্থ যেন তিনি প্রত্যাখ্যান করেন এবং দেশটিতে বন্দি থাকা নারী অধিকারকর্মীদের মুক্তির দাবিতে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।
এমন চিঠির পর মঙ্গলবার নিকি মিনাজ একটি বিবৃতিতে জেদ্দায় কনসার্টে না যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান এবং ওই ফাউন্ডেশনের কথামতো তিনি বলেন: সৌদি আরবে আমার ভক্তদের জন্যই রাজি হয়েছিলাম। তবে আমি মনে করি নারী অধিকার, এলজিবিটি সম্প্রদায় ও বাক স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দেয়া আমার জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।