সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারি মোবাইল সেবার অ্যাপ। এই সেবার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য তাদের না জানিয়েই তৃতীয় পক্ষের হাতে তুলে দিয়েছে।
ফেসবুক আর ক্যামব্রিজ অ্যানালাইটিকার চলমান বিতর্কের মধ্যেই ভারতের মোবাইল সেবার বিরুদ্ধেও এই অভিযোগ উঠলো।
নিরাপত্তা গবেষকরা টুইটারে লিখেছেন, এই অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য কোনো তৃতীয় পক্ষের হাতে তুলে দিয়েছে, যা মার্কিন এক কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
অবশ্য মোদির দল ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পার্টির বক্তব্য, শুধুমাত্র ভোক্তাদের আরো বেশি ‘প্রাসঙ্গিক বিষয়বস্তু’ সরবরাহ করার জন্যই এসব বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
এলিয়ট অ্যাল্ডারসনের ছদ্মনামের গবেষক পরপর কয়েকটি টুইট করেন শনিবার। সেখানেই জানানো হয়, অ্যাপটি ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য কোনো তৃতীয় পক্ষের হাতে তুলে দিচ্ছে।
এই নিরাপত্তা গবেষকই এর আগে ভারতের জাতীয় পরিচয়পত্র আধারকার্ডের দুর্বলতার বিষয়টি সামনে আনেন।
অ্যাল্ডারসন অভিযোগ তোলেন ‘নামো অ্যাপ’ নামে ভারতে পরিচিত এই সেবাটি ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই তথ্য তুলে দিচ্ছে তৃতীয় পক্ষের হাতে। রোববার নতুন একটি টুইটে জানান, আগের টুইট দেখে অ্যাপটি চুপিসারে তাদের প্রাইভেসি পলিসি বদলেছে।
এরপর এনডিটিভির অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে ব্যবহারকারীর নাম, ইমেইল ঠিকানা, লিঙ্গ ও শহর ইন.ডব্লিউজেডআরকেটি.কম নামে একটি ওয়েবসাইটের সঙ্গে ভাগাভাগি করেছেন। তবে তথ্য দেওয়ার সময়ে অ্যাপটি ব্যবহারকারীর কাছ থেকে কোনো অনুমতিই নেয়নি, এমনকি জানায়নি যে এসব তথ্য অন্য কারো কাছে পাঠানো হবে।