রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা অনুষদের ২০১৭-১৮ ভর্তি পরীক্ষায় সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন নিয়ে শাস্তি পাওয়ার পর এবার পদত্যাগ করলেন চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান। রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
অধ্যাপক এম এ বারী জানান, ব্যক্তিগত সমস্যা দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান। তবে উপাচার্য অনুমোদন না দেওয়া পর্যন্ত তিনি ঐ পদে দায়িত্ব পালন করবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ব্যক্তিগত সমস্যা থাকার কারণে পদত্যাগ করেছি।’
অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান ২০১৬ সালের ২৪ মার্চ ডিন ক্যাটাগরিতে বিএনপিপন্থী সাদা প্যানেল থেকে নির্বাচিত হন।
এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭৪ তম সিন্ডিকেট সভায় চারুকলা অনুষদের প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উষ্কানিমূলক প্রশ্ন প্রণয়নের অভিযোগে অনুষদটির ডিন অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ও চারুকলার সহকারী অধ্যাপক জিল্লুর রহমান ১০ বছরের জন্য যেকোন পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এছাড়া ডিনের পদ থেকে অব্যাহতির জন্য যদি আইনগত বাধা না থাকে তাহলে ডিনকে অব্যাহতি দেওয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয় ঐ সভায়। সিদ্ধান্তের ৪ দিনের মাথায় ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন অধ্যপক মোস্তাফিজুর রহমান।
গত ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘আই’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নে ‘পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থের নাম কী?’ এবং ‘মুসলমান রোহিঙ্গাদের উপর মায়েনমারের (মিয়ানমার) সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা সশস্ত্র হামলা চালায় কত তারিখে?’ -এমন দু’টি প্রশ্ন রাখা হয়। যা নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।
ওই দুটি প্রশ্নকে সাম্প্রদায়িক উসকানি উল্লেখ করে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন ও শিক্ষকরা জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
পরে ওই ঘটনায় ২৮ অক্টোবর উপ-উপার্চায অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহাকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরই সিন্ডিকেটে দুই শিক্ষককে সাজা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।