বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে নামার আগে নিজেদের স্পিন শক্তি দেখাল আফগানিস্তান। অধিনায়ক রশিদ খান আর চায়নাম্যান জহির খান মিলে লেগ স্পিনে কাবু করে বিসিবি একাদশকে মাত্র ১২৩ রানে গুটিয়ে দিয়েছে তারা। তিনদিনের ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ড্র হলেও সাকিব-তামিমদের বার্তা দিয়ে রাখল আফগানরা।
সোমবার চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে দু’দিনের ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা হয় নুরুল হাসান সোহানদের। আফগান স্পিনারদের দাপটে মাত্র ৪৪.১ ওভার টিকতে পারেন তারা। আফগানদের করা ২৮৯ রানের জবাবে বিসিবি একাদশ গুটিয়ে যায় মাত্র ১২৩ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৯ রান করে আল-আমিন জুনিয়র।
এনামুল হক বিজয়, নাঈম ইসলাম, ফজলে মাহমুদ রাব্বি, নুরুল হাসান সোহানদের মতো ব্যাটসম্যান থাকার পরও দেড় সেশন ব্যাট করতে পারেনি বিসিবি একাদশ।
বাংলাদেশের এই দলের ব্যাটসম্যানদের স্পিন ঘূর্ণিতে বেশি ভুগিয়েছেন চায়নাম্যান জহির। ১১.৩ ওভার বল করে মাত্র ২৪ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি। অধিনায়ক রশিদ পান ২৬ রানে ৩ উইকেট। লেগ স্পিনের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের চিরায়ত দুর্বলতা এদিন আরও একবার প্রকাশ হল।
আগের দিনের ৮ উইকেটে ২৪২ রান নিয়ে নেমে এদিন মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে আরও ৪২ রান যোগ করে ইনিংস ঘোষণা করে আফগানরা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমেই বিপর্যয়ে পড়ে বিসিবি একাদশ। দলের ১৬ রানে ওপেনার সাব্বির হোসেনকে ফেরান পেসার শাপুর জাদরান। ১৯ রান করা এনামুলকে এলবিডব্লিও করে উইকেট নেয়া শুরু করেন রশিদ। আহমেদ শিরজাদ ফেরান ফজলে রাব্বিকে।
অভিজ্ঞ নাঈম ইসলামকে আউট করে উইকেট নেয়া শুরু জহিরের। ৬০ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে বিপাকে পড়া বিসিবি একাদশ আর দাঁড়াতে পারেনি। একের পর উইকেট তুলে নিতে থাকেন জহির-রশিদরা।
পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটে ১৪ রান তোলে আফগানিস্তান। ৩.৫ ওভার খেলা হওয়ার পর ম্যাচ ড্র হয়ে যায়।
বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের মধ্যকার একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি শুরু হবে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান প্রথম ইনিংস: ৯৯ ওভারে ২৮৯/৯ (ডিক্লে) ও ১৪/০।
বিসিবি একাদশ প্রথম ইনিংস: ৪৪.১ ওভারে ১২৩।